ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

ঐতিহাসিক স্থাপনার শহর মিয়ানমারের বেগান

প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ১২:৫৭ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রবিবার

ঐতিহাসিক স্থাপনার শহর মিয়ানমারের বেগান। এক সময় ১০ হাজারেরও বেশি মন্দির ও প্যাগোডা থাকলেও কালের বিবর্তনে এখন টিকে আছে দুই হাজার স্থাপনা। তবে, আবহাওয়া পরিবর্তন, ভূমিকম্প ও কতৃপক্ষের খামখেয়ালীর কারণে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে ইতিহাসের সাক্ষী এসব স্থাপনাগুলো। সমালোচকদের মতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের তুলনায় কর্তৃপক্ষই বেশি ক্ষতি করছে এ অঞ্চলের। myanmar-beganকুঁয়াশাচ্ছন্ন পর্বতের মাঝে দিগন্তজোড়া সবুজ জুড়ে শুধু মঠ আর মন্দির। মিয়ানমারের বেগানে ১০৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে থাকা এসব মন্দির-প্যাগোডা নবম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দির সময়কালে নির্মিত। এ সময়ই বেগানে নির্মান করা হয় ১০ হাজারেরও বেশি বৌদ্ধমন্দির ও মঠ। আবহাওয়ার পরিবর্তন ও বারবার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাজারো পর্যটকের এ চারণভূমি। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হারিয়ে গেছে অনেক প্রাচীন স্থাপনা। তবে এখনো কালের সাক্ষী হয়ে আছে দুই হাজার ২০০টি স্থাপনা।  ধাপে ধাপে সংস্কার কাজও চালানো হচ্ছে। গেলো ২৪ আগস্ট ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এখানকার ৪০০টিরও বেশি স্থ্াপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ভূমিকম্পে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ভেঙে পড়ছে সংস্কারকৃত অংশগুলো। পুরানো স্থাপনাগুলো এখনো প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে আছে। সংস্কার কাজ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে প্রতœতত্ত্ববিদদের। নিয়মনীতি ছাড়াই বেগান এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে রাস্তা, হোটেল, ওয়াচ টাওয়ার। সমালোচকদের মতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের তুলনায় কর্তৃপক্ষই বেশি ক্ষতি করছে এ অঞ্চলের। ২০১৮ সালের মধ্যে মঠের এ শহরকে ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়াল্ড হেরিটেজ সাইটের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বার্মিজ কর্তৃপক্ষ।