আজ ভয়াবহ সিডর দিবস
প্রকাশিত : ১১:৪২ এএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
আজ বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮। ভয়াবহ সিডর দিবস আজ। ২০০৭ সালের এই দিনে ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাসের সঙ্গে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার পানি আঘাত হেনেছিল উপকূলীয় এলাকায়। এতে পানির চাপে পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীপাড়ের বেড়িবাঁধ ভেঙে ভাসিয়ে নিয়ে যায় ৬৮ হাজার ৩শ ৭৯টি ঘরবাড়ি। পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায় ৩৭ হাজার ৬৪ একর জমির ফসল।
সেদিন সিডর মূলত আঘাত হানে বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর জেলাগুলোতো। তবে জান- মালের ব্যাপক ক্ষতি হয় বাগের হাটের শরনখোলা উপজেলায়। এখানে ৭ শতাধিক মানুষের নির্মম মৃত্যু হয়েছিল। এদের মধ্যে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়ন থেকে মারা যায় ৬ শতাধিক। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল শিশু, বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা। ১১ বছর পরও দুঃসহ সেই দিনের কথা মনে করে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন অনেকে। হারানো স্বজনের স্মৃতি হাতড়ে বেড়ান কেউ কেউ।
প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের ভয়াল স্মৃতি আজও তাড়িয়ে বেড়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলবাসীকে। সিডর আঘাতের এগার বছর পরও ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোয় নির্মাণ হয়নি টেকসই বেড়িবাঁধ। তাইতো এখনও আতঙ্কে দিন কাটে উপকূলবাসীর।
সিডর-আইলার মতো দুর্যোগের পরও বাগেরহাটে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও বেড়িবাঁধ গড়ে উঠেনি। ফলে আতংক কাটেনি উপকুলবাসির। দুর্যোগকালিন ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হলেও অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে হতাশায় তারা।
সিডর, মহাসেন, আইলা, রোয়ানুর আঘাতের কারণে বরগুনায় ৯০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৫০০ কিলোমিটার এখনও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০ কিলোমিটার।
একে//