ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে  ‘হাসিনা: এক কন্যার গল্প’

প্রকাশিত : ০১:৪৮ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে দেশের মানুষের অজান কিছু নেই। তবে রাজনীতির বাহিরে ও রাষ্ট্রনায়কের অন্তরালে থাকা শেখ হাসিনার গল্প অনেকেরই অজানা। সেই অজানা-অদেখা গল্পগুলোই ‘শেখ হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ তৈরি করা হয়েছে। যা আগামী ১৬ নভেম্বর শুক্রবার থেকে বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লক বাস্টার মুভি, মতিঝিলের মধুমিতা হল ও চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে একযোগে প্রদর্শন মুক্তি পাচ্ছে।

এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)। প্রতিষ্ঠানটি নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস বলেন, আজ বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রিমিয়ার প্রদর্শনী হবে। 

প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণের কারণ এবং নির্মাণ করতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রযোজক সিআরআইর কর্মকর্তা ও নির্মাতা পিপলু খান বলেন, আমরা শেখ হাসিনাকে বহুবার দেখেছি রাজনীতির মঞ্চে। তাকে হাসতে দেখেছি, কাঁদতে দেখেছি। কিন্তু কখনও দেখিনি একান্ত নিভৃতে একা মানুষটাকে; একটি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনাকে।

“আমরা তার গল্পটা জানি না। পরিবারের সবাইকে হারিয়ে একা এতগুলো দিন সেই ভীষণ কষ্টের বোঝা একা বয়ে চলেছেন যিনি, তারও তো একটা গল্প আছে। এই ডকুমেন্টারিতে সেই অদেখা মানুষটার অন্য জীবনের গল্প জানবে সবাই।

নির্মাতা পিপলু খান বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যা, যার জীবনে এত উত্থান-পতন রয়েছে, আমার কাছে মনে হয়েছে আমি কী করে এই ছবিটাকে আরও বিস্তৃত করে তুলে ধরতে পারি। আমাকে খুব স্বাভাবিকভাবেই আকর্ষণ করেছে তার জীবনের সাহসের সঙ্গে উত্থানের গল্প।

শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে খুব স্বাভাবিকভাবেই এসেছে বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক, তার সংস্পর্শে বেড়ে ওঠা, বাবার রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি তার অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের বিষয়টি।

প্রামাণ্যচিত্রটি“ ১৪ দিন ধরে ৩২ নম্বরে শুটিং করা হয়। ডকুমেন্টরিতে তারা অনেকগুলো বিষয়কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে উঠে আসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্লোরিফাই করতে নয়। কোনো রাজনৈতিক বিষয়কে বিবেচনায় নিয়েও নয়, বরং একটি দেশের ইতিহাসের একটি সময়কে ৭০ মিনিটে তুলে আনতে চেষ্টা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিআরআইর ব্যানারে প্রামাণ্যচিত্রটির প্রযোজক থাকছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও নসরুল হামিদ বিপু। প্রামাণ্যচিত্রটির সঙ্গীতায়োজনে ছিলেন দেবজ্যোতি মিস্ত্র, সিনেমাটোগ্রাফিতে সাদিক আহমেদ, সম্পাদনা করেছেন নবনীতা সেন।

 

টিআর/