ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

শিল্পকলায় নবান্নোৎসব আয়োজন

প্রকাশিত : ১০:০৮ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে নবান্নোৎসব আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এর সভাপতিত্বে এর আলোচনা পর্ব শুরু হয়।

আলোচনায় বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী ছাড়াও একাডেমির বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও কর্মকর্তারা অংশ নেন। আলোচনা শেষে পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শিল্পকলা একাডেমির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘ঢাকা হবে শিল্পের শহর, ঢাকা হবে বিশ্বের অন্যতম নান্দনিক নগরী’ শ্লোগানে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) থেকে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে শিল্পের শহর ঢাকা কর্মসূচী। এদিন মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ওব্যাট ইংলিশ স্কুলে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতসহ দেশাত্ববোধক নয়টি গান পরিবেশন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান শিক্ষক হালিমা সুলতানা, জোহরা হোসেন জেমি (সংগীত শিক্ষিকা), সোমা আক্তার, শাহবাজ খান, নিঘাত আক্তার ও সোহেলী লোহানী।

উল্লেখ্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংগীত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণে জাতীয় সংগীতসহ দেশাত্ববোধক ৯টি সংগীত শেখানো হয়। শিল্পের শহর ঢাকা কর্মসূচীতে শিক্ষার্থীরা গানগুলো পরিবেশন করেন। গানগুলো হলো-জাতীয় সংগীত, ধনধান্য পুষ্পভরা, এ মাটি নয় জঙ্গিবাদের, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো, সত্য বল সুপথে চল, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, আনন্দ লোকে মঙ্গল আলোকে, মঙ্গল হোক এই শতকে মঙ্গল সবার, দাও সোর্য দাও ধর্য।

এই কর্মসূচির আওতায় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৬, ১৭, ১৮ নভেম্বর যথাক্রমে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের উত্তরা শাখা, উইনসাম স্কুল এন্ড কলেজের লালমাটিয়া শাখা এবং মেট্টোপলিটন স্কুল অ্যান্ড কলেজের যাত্রাবাড়ী শাখায় এই সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র পরিকল্পনায় শহরবাসীকে নির্মল ও রুচিশীল বিনোদন উপহার দিয়ে মানুষের মাঝে শিল্পের বোধ ছড়িয়ে দিতে ‘শিল্পের শহর ঢাকা’ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ঢাকা শহরে বছরব্যাপী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ঢাকা শহর সম্পর্কে সমাজে যেসব নেতিবাচক অভিব্যক্তি রয়েছে সেসব দূরীভূত করে ঢাকা’কে শিল্পচর্চার নান্দনিক নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি শহরেরই নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। শহরগুলোর সেই সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যকে শহরবাসীর সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে ‘শিল্পের শহর’ কর্মসূচি বিভাগীয় শহরসমূহে সম্প্রসারিত হয়েছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে চলতি অক্টোবর মাসে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ১০টি স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

আরকে//