ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত

প্রকাশিত : ১১:২৮ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ধর্মসচিব মো.আনিছুর রহমান গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তাবলীগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষ ছাড়াও পুলিশের আইজি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ধর্ম সচিব, তাবলীগ জামাতের মুরব্বিদের মধ্যে শুরা সদস্য মাওলানা যুবায়ের আহমদ ও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার কারণে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যস্ত থাকায় নির্বাচনের পরে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

তাবলীগ জামাতের বিশ্ব আমির দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও নিজামুদ্দীন মারকাজের বিরোধিতা করছেন পাকিস্তানের তাবলীগ নেতারা। তাবলীগের মূল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজামুদ্দীন মারকাজের সমান ক্ষমতা দাবি করে আলমি শুরা গঠন করে রাইভেন্ড মার্কাজ।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অংশদারিত্বের বিবাদে দিল্লি-লাহোর জড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়েই এর প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের প্রধানকেন্দ্র কাকরাইল মসজিদেও ছড়িয়ে পড়ে বিভক্তি।

১১ জন শুরা সদস্যের মাঝে ছয়জন নিজামুদ্দীনের পক্ষে থাকলেও বাকি পাঁচজন আলমি শুরার পক্ষে অবস্থান নেন। এ অংশের বিরোধিতায় বিগত বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ ও নিজামুদ্দীনের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ এসেও ইজতেমায় অংশ নিতে পারেননি।

পরে কাকরাইল মসজিদে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুরব্বিদের উপস্থিতিতে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর তিন চিল্লার সাথীদের জোড় এবং ১১, ১২, ও ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন।

এর বিরোধিতা করে ডিসেম্বরের ৭ থেকে ১১ জানুয়ারি জোড় এবং জানুয়ারির ১৮, ১৯ ও ২০ ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে অপর পক্ষ। ফলে তবলীগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।

এসএইচ/