ইলিশ রপ্তানীতে আয় হচ্ছে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা
প্রকাশিত : ১২:১৪ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ১২:১৪ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রবিবার
দেশে মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান ১২ শতাংশ। যার আর্থিক মূল্য প্রায় হাজার কোটি টাকা। রপ্তানী করে আয় হচ্ছে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুকুরে ইলিশ চাষ, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান আর অভয়াশ্রম বাড়ানো, সর্বোপরী নদীকে দূষণমুক্ত করতে পারলে ইলিশ ফিরে পাবে তার হারানো জৌলুস।
জাতীয় মাছ ইলিশের স্বাদের বিকল্প নেই। বাঙ্গালির রসনা তৃপ্তিতে ইলিশের কদর বহুকাল ধরেই।
ইলিশের সংখ্যা বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধান প্রজনন ক্ষেত্রগুলোতে আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার ৭ দিন আগে ও পরে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এছাড়া, জাটকা নিধন রোধে নিয়মিত নজরদারি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। এছাড়া, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এ’সব কর্মসূচির কারণে সফলতা এসেছে বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের।
পরিসংখ্যান বলছে, জাটকা রক্ষা, বছরের কিছু সময় ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ এবং অভয়াশ্রম ঘোষণার ফলে ২০০৭ সালে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০০৮ সালে ৭৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ২০১০ এ ৬৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং ২০১২ সালে ৭১ দশমিক ৫৮ শতাংশ উৎপাদন বেড়েছে ইলিশের।
এ’ধারা বাড়াতে বরিশালের হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় মেঘনার শাখা নদীতে প্রায় ৬০ কিলোমিটার এলাকায় নতুন অভয়াশ্রম ঘোষণার প্রস্তাব করা হয়েছে।