ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

ভিডিও কনফারেন্সে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার

তারেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসিকে চিঠি আ.লীগের

প্রকাশিত : ০৭:৫৮ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ১১:০৬ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৮ রবিবার

লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করেছেন বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগের। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) চিঠি দিয়েছে দলটি।

আজ রোববার রাতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এসময় তারা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইসি সচিবের হাতে হস্তান্তর করেন।

এ বিষয়ে ফারুক খান গণমাধ্যমকে বলেন, একজন দণ্ডিত আসামি হয়ে তারেক রহমান স্কাইপিতে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। কিন্তু আইন বলছে, একজন পলাতক আসামি হিসেবে তারেকের বক্তব্য কোথাও প্রচার হবে না। সে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপাসনের পদেও থাকতে পারবেন না।

ফারুক খান বলেন, তারেকের স্কাইপিতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং বক্তব্য দেয়া নির্বাচন আইনের লঙ্ঘন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।

 

সুপ্রিম কোর্টে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের মহাসমাবেশেও আচরণবিধির লংঘন হয়েছে অভিযোগ করে  ফারুক খান বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের আমরা দেখেছি, সুপ্রিম কোর্টে সারাদিন নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছে। এটা আচরণবিধির লঙ্ঘন। এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস। এটি চলতে থাকলে নির্বাচন আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এ বিষয়ে দ্রুত শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।

আমাদের দাবি পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনও যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে।

কর্নেল ফারুক এ সময় বলেন, আদালতের নির্দেশনা সবাইকে মানতে বলা হয়েছে।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। এ খবর গণমাধ্যমে এসেছে। একজন পলাতক আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে আসতে পারে না। গণমাধ্যমও সেই বক্তব্য প্রচার করতে পারবে না বলে আদালতের নির্দেশনা আছে।

তিনি বলেন, তারেক রহমান এই টেলিকনফারেন্স করে কোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন। তিনি আইন মানছেন না। নির্বাচন আচরণ বিধিতে উল্লেখ আছে, দেশের প্রচলিত আইন মানতে হবে। তাই আচরণবিধিও লঙ্ঘন হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনকে আমরা আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি, দেলোয়ার হোসেন, রিয়াজুল কবীর কাউসারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।