ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ট্রান্সফর্মিং রাইস ব্রিডিংয়ের দুইদিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত : ০৪:৫২ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার

এসিআই লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত এসিআই সেন্টারে ১৮-১৯ নভেম্বর ২০১৮ ইংইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্স ইন্সটিটিউট (আইআরআরআই), ইউএসএইড এবং বিল এন্ড মেলিন্ডা গেইটস ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় ”ট্রান্সফর্মিং রাইস ব্রিডিং: কারেন্ট স্ট্যাটাস এন্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড” শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ২০ নভেম্বর ২০১৮ ইং এ বাংলাদেশ রাইস রিসার্স ইন্সটিটিউট (বিআরআরআই) গাজীপুরে মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে কর্মশালার সমাপ্তি ঘটবে।

কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্ধোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা। এছাড়াও রয় ফেন (ইউএস এইড বাংলাদেশ) এবং গ্যারী অ্যাটলিন (বিল এন্ড মেলিন্ডা গেইটস ফাউন্ডেশন) অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্স ইন্সটিটিউট এর প্রতিনিধি ড. হুমনাথ ভান্ডারী। এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. এফএইচ আনসারী কমপ্লিট রাইস ভ্যালু চেইন এ এসিআই এর সমাধানসমূহ (রিসার্স এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বীজ, সার, কৃষি যন্ত্রপাতি, ক্রপ প্রটেকশন, রাইস মিলিং এবং ব্র্যান্ডিং, রিটেইলিং এবং কমিউনিকেশন) প্রদর্শন করেন।

কর্মশালার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ট্রান্সফর্মিং রাইস ব্রিডিং (টিআরবি) এর ব্যাপারে সবাইকে অবগত এবং সচেতন করা এছাড়াও বর্তমানে চলমান আইআরআরআই, বিআরআরআই এবং এসিআই এর টিআরবি প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সবাইকে জানানো। আইআরআরআই হতে আগত ৮ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক, বিআরআরআই এবং এসিআই এর পক্ষ হতে বাংলাদেশের ৫ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক ৪ টি সেশনে ১৫ টি বিষয়ে ৮০ জন অংশগ্রহণকারীর সামনে রাইস ব্রিডিং এর অত্যাধুনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন যা সংক্ষেপে টিআরবি নামে পরিচিত। টিআরবি এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এই পদ্ধতিতে ধানের ব্রিডিং ও প্রজাতির উন্নয়নের সময়কাল ৩-৪ বছরে করা সম্ভব যা পুরাতন উপায়ে

সম্পাদন করতে ৭-৮ বছর সময়ের প্রয়োজন হত। আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে স্বল্প খরচে এবং বাজার চাহিদার কথা চিন্তা করে এই টিআরবি পদ্ধতি চালু করা হয়। আধুনিক পদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ দিক হল নির্বাচন পদ্ধতি, যা আণবিক ভিত্তিক এবং সনাতন পদ্ধতিতে ভিজ্যুয়াল সিলেকশন সিস্টেমের মত নয়। টিআরবি পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে বিকশিত ধানের জাতগুলো শুধুমাত্র উচ্চ ফলনই নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, লবনাক্ততা, সহনশীলতা এবং আকর্ষনীয় শষ্যের গুনাবলী সম্বলিত হওয়ায় সব কৃষকের কাছে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। পুরনো চাষের প্রক্রিয়া এবং প্রজাতির সব ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য টিআরবির উদ্ভাবন করা হয় এবং বর্তমান কৃষকরা পুরানো ধানের প্রজাতির পরিবর্তে টিআরবির মাধ্যমে উদ্ভাবিত ধানের প্রজাতির চাষ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের ধানের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যাপক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

কেআই//