ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ফেব্রুয়ারীতে মুক্তি পাচ্ছে চবি শিক্ষার্থীদের ‘শাটল ট্রেন’

প্রকাশিত : ০৫:১৩ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার

চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ‘শাটল ট্রেন’ চলচ্চিত্রের নির্মাণ কাজ শেষ হতে যাচ্ছে। এই চলচ্চিত্রটি ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

রাজধানীর লালমাটিয়ায় চারু প্রাঙ্গণ আর্ট গ্যালারীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মো. কামরুল আহসান সভাপতিত্বে এবং চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক নির্মাতা রিফাত মোস্তফা লিখিত বক্তব্যে এই তথ্য জানান।

চলচ্চিত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ তম ব্যাচের ছাত্রী মোহসেনা ঝর্ণার ‘বহে সমান্তরাল’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে। পরিচালনা করছেন ৩৪তম ব্যাচের চারুকলা বিভাগের সাবেক ছাত্র ও চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ এবং প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে আছেন ৩৪তম ব্যাচের ফিন্যান্স বিভাগের রিফাত মোস্তফা।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এর নির্মাণ শুরু হয়। চলচ্চিত্রটিতে থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রেম-ভালবাসা, বিচ্ছেদ ও শিক্ষাঙ্গনের নানা বৈচিত্র্যপূর্ণ কাহিনী।

চলচ্চিত্রটিতে মোট ছয়টি মৌলিক গান রয়েছে। এছাড়াও ট্রেনের বগি ভিত্তিক গান রয়েছে। এতে অভিনয় করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

১৯৮১ সাল থেকে পথচলা শুরু করে এখনও শিক্ষার্থীদের নিত্যসঙ্গী হিসেবে চলমান এই শাটল ট্রেন। শাটল ট্রেন যেন একটি মঞ্চ। আর এই মঞ্চের শিল্পী হলেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন আসা যাওয়ার সময় বগির দেয়ালে ‘ড্রাম’ চাপরিয়ে উচ্চস্বরে গান গেয়ে সারা বগি মাতিয়ে রাখে। এ বগিতেই গান গাইতে গাইতে শিল্পী হয়ে উঠেছেন অনেকেই।

তাদের মধ্যে আজ দেশের অন্যতম তারকা শিল্পী হলেন নকীব খান, পার্থ বড়ুয়া, এসআই টুটুলসহ আরও অনেকেই। শুধু গান নয় এই ট্রেনকে ঘিরে গড়ে ওঠেছে হাজারও গল্পকথা।

শাটল ট্রেন আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একসূত্রে গাঁথা। এই শাটল ট্রেনকে কেন্দ্র করেই রচিত হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাসি-কান্না, প্রেম-ভালোবাসা ও আনন্দ-বেদনার মহাকাব্য। এই মহাকাব্যের কিছু সময়, কিছু ঘটনা আর অনুভূতি নিয়ে নির্মিত হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘শাটল ট্রেন’।

এই চলচ্চিত্রটি একযোগে সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন সিনেপ্লেক্সে এর প্রদর্শন করা হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ ক্যাম্পাসে ৭ দিনের প্রদর্শনী উপভোগ করার সুযোগ পাবে। দেশের স্বনামধন্য একটি টেলিভিশন চ্যানেলে চলচ্চিত্রটির টেলিভিশন প্রিমিয়ার করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের গণ-অর্থায়নে নির্মাণ হচ্ছে এই চলচ্চিত্র।

কেআই/