কৃষকদের ঋণ শোধ করলেন অমিতাভ বচ্চন
প্রকাশিত : ০৯:১৯ এএম, ২১ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার
কৃষকদের নেওয়া চার কোটি রুপির বেশি কৃষি ঋণের অর্থ শোধ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন।
নিজের ব্লগ পাতায় মঙ্গলবার তিনি লিখেছেন, ১৩৯৮জন কৃষকের ঋণের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের সবার কৃষি ঋণের বকেয়া অর্থ তিনি ব্যাংকে শোধ করে দিয়েছেন, যা তাকে কোন কিছু `সম্পন্ন` করার অনুভূতি দিয়েছে।
এই কৃষরা ভারতের উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা, যেখানে অমিতাভ বচ্চনের জন্ম হয়েছিল। ভারতে প্রতিবছর হাজার হাজার কৃষক ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন।
কয়েক দশক ধরে খরা, পানির জন্য খরচ, উৎপাদনে হ্রাস এবং আধুনিকায়নের অভাবে ভুগছে দেশটির কৃষিখাত। এসব কারণে অনেক কৃষকের আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ১৯৯৫ সাল থেকে এসব কারণে অন্তত তিন লাখ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।
এখন ৭৬ বছর বয়সী অমিতাভ বচ্চন ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় আর বিখ্যাত তারকাদের একজন।
তিনি যেসব কৃষি ঋণ শোধ করে দিয়েছেন, সেগুলো ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কাছে ছিল। এই ঋণ শোধের পর ব্যাংকটি এই কৃষকদের নামে এককালীন নিষ্পত্তি সনদ দিয়ে দিয়েছে।
অমিতাভ বচ্চন লিখেছেন, `তাদের ঋণ শোধ হয়ে যাওয়ার এসব সনদ আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের কাছে তুলে দিতে চাই।`
কিন্তু এতো কৃষককে মুম্বাই শহরে নিয়ে আসা কঠিন একটি ব্যাপার, যে শহরে অমিতাভ বচ্চন বসবাস করেন।
আপাতত রেলের একটি বগি সংরক্ষিত করা হয়েছে, যেখানে সত্তর জন কৃষক আসতে পারবেন এবং তার সঙ্গে দেখা করে নিজেদের নামের ঋণ শোধের সনদটি নিয়ে যেতে পারবেন। ২৬ নভেম্বর এই কৃষকরা মুম্বাই আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বছরের শুরুর দিকে অমিতাভ বচ্চন মহারাষ্ট্র রাজ্যের ৩৫০জন কৃষকের ঋণ পরিশোধ করে দিয়েছিলেন। ঋণের ছাড় আর কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূলের দাবিতে গত বছর রাজ্যটির হাজার হাজার কৃষক বিক্ষোভ করেছিলেন।
যদিও এই নামী অভিনেতার বিষয়ে কৃষি জমি নিয়ে বিতর্ক আছে। ২০০৭ সালে একটি আদালত রুল জারি করেছিল যে, তার নামে যে ৯০ হাজার বর্গফুটের জমি বরাদ্দ করা হয়েছে, তা বেআইনিভাবে হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও আনা হয়েছিল। তবে ওই জমি থেকে তিনি দাবি তুলে নেওয়ার পর সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়।
১৯০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন। এখনো অনেক চলচ্চিত্রে তার তারকাময় পদচারণা রয়েছে। ভারতে সবচেয়ে দেখা টেলিভিশন অনুষ্ঠান `কোন বনেগা ক্রোড়পতি` অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনাও করেছিলেন তিনি।
তথ্যসূত্র : বিবিসি
এমএইচ/