ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আসন সংকটে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী, বিপাকে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত : ০৪:৪৪ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ৮০ আসন বিশিষ্ট একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের পর্যাপ্ত স্থানের অভাব থাকলেও আসনগুলো অধিকাংশ ফাঁকা থাকে। 

এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বই নিয়ে লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে না দেওয়ায়, লাইব্রেরিতে বসে পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে অধিকাংশ শিক্ষার্থী।   

বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে ৪০টি আসন বিশিষ্ট একটি রুম থাকলেও পরে আরও একটি রুম বরাদ্দ দিলে ৮০টি আসনে রুপান্তরিত হয়। যা সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।  

লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ হারানোর পিছনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অন্যতম অভিযোগ হচ্ছে, লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বইয়ের অভাব। যে বইগুলো রয়েছে কোর্সের সাথে মিল নেই। বাহিরের বই নিয়ে প্রবেশে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কোনো অবস্থাতেই বাহিরের বই নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। এতে শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে প্রতিনিয়ত। 

এই বিষয়ে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, লাইব্রেরী থেকে যে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার তা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছি আমরা। এখানে পর্যাপ্ত বই নেই। নিজস্ব বইপত্র নিয়ে প্রবেশ রয়েছে অনেক বাঁধা। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরা তাদের লাইব্রেরিতে আসার মতো আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তাই লাইব্রেরির আসনগুলো অধিকাংশ সময় ফাঁকা থাকে।’

শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, শিট ছাড়া আর কোনো কিছু নিয়েই লাইব্রেরিতে ঢুকতে দেওয়া হয় না। ভেতরে মাঝে মাঝে বই খোঁজতে খোঁজতেই সময় চলে যায় শিক্ষার্থীদের।

লাইব্রেরি কার্ড তৈরির বিষয় নিয়েও শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একটা লাইব্রেরি কার্ড পেতেও সপ্তাহেরও বেশিও সময় লেগে যায়। যে বইগুলো রয়েছে তার একাধিক কপি নাই। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবার লাইব্রেরি খোলা রাখার জন্য বলেন।  

লাইব্রেরির সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মহিউদ্দিন মোহাম্মদ তারিক ভূইয়া বলেন, বড় পরিসরের রুম বরাদ্দ পেলে  শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরীতে বই নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।

ফটোকপি মেশিন ক্রয় করা হবে কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘এই রকম পরিকল্পনা আমাদের নেই। ই-লাইব্রেরীতে সাড়ে ৩ হাজার বই ও সাড়ে ৭ হাজার জার্নাল পড়া যাবে বলে তিনি জানান।

কেআই/এসি