ঢাকা, শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২০ ১৪৩১

ওবামার প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মিশেল!

প্রকাশিত : ১১:২৫ এএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

মিশেল যে ফার্মে কাজ করতেন সেখানে তারই সহকারী হিসেবে কাজ করতে এসেছিলেন চনমনে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। কিন্তু তার সঙ্গে দেখা করতে আসার প্রথম দিনই দেরি করেছিলেন ওই যুবক। দিনটা ভালভাবেই মনে আছে মিশেল ওবামার। সালটা ১৯৮৯।

শিকাগোর সিডলি অ্যান্ড অস্টিন ল ফার্মে মিশেলের সহকারী হিসেবে যিনি যোগ দিতে গিয়েছিলেন, তার নাম বারাক ওবামা। আমেরিকার ৪৪তম প্রেসিডেন্ট। তবে সাক্ষাতের প্রথম দিন তাকে বেশ পছন্দ হলেও তাকে একেবারেই নিজের জুনিয়র হিসেবে দেখতেন মিশেল।

তাই প্রথম বার যখন ওবামা তাকে ডেট-এ যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, মিশেল সরাসরি জবাব দেন, ‘আই ডোন্ট ডেট।’

পরে অবশ্য সেই সমীকরণ বদলেছিল। তিন বছরের মাথায় নিজের সেই জুনিয়র সহকারীই তার জীবন সঙ্গী হন। মিশেল তার আত্মজীবনী ‘বিকামিং’-এ বারাকের সঙ্গে তার সম্পর্ক শুরুর দিনগুলোর কথা এভাবেই লিখেছেন।

বইতে মিশেল লিখেন, প্রথম দিন দেরি করার জন্য তিনি কিছুটা রেগে থাকলেও বারাকের মধ্যে এক অদ্ভুত ব্যতিক্রমী আভিজাত্য ছিল, যা প্রথম দিন থেকেই তার নজর কেড়েছিল। এক দিন একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন দু’জন। সেখানে খাওয়ার পরেই সিগারেট ধরান ওবামা। যা মিশেলের নাকি একেবারেই পছন্দ হয়নি।

তিনি লিখেছেন, ‘বারাকের সিগারেট খাওয়াটা ছিল আমার বাবার মতো। খাওয়ার পরে হাঁটতে বেরিয়ে বা অসম্ভব কোনও চাপে থাকলে সিগারেট খেতেন আমার বাবা।’ কিছু দিন কাজ করার পরে বারাকই এক দিন ডেট-এর প্রস্তাব দেন।

জুনিয়রের কাছ থেকে এমন প্রস্তাব পেয়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন প্রথমে। বলেই ফেলেছিলেন, ‘কী! তুমি আর আমি?’ পরে জানিয়েই দেন, তিনি ডেট করা পছন্দ করেন না। তা ছাড়া বারাক যে তার সহকারী হিসেবে কাজ করছেন, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মিশেল। প্রথম বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বারাক দমেননি একেবারেই। উল্টো মিশেলকে বলেছিলেন, ‘জানি তুমি আমার বস। তবে ভীষণই কিউট।’

পরে অবশ্য পাল্টে গিয়েছিল সব হিসাব। তিন বছর পরে সেই জুনিয়রকেই বিয়ে করেছিলেন মিশেল রবিনসন। ১৯৯২-এর ৩ অক্টোবর। মিশেলের নামের সঙ্গে জুড়েছিল ওবামা পদবী। বিয়ের পরে বারাকের আর নিজের ক্যারিয়ার এবং সংসার সামলাতে তিনি কীভাবে হিমশিম খেতেন, তা-ও লিখেছেন মিশেল। এবং বলেছেন, ‘ওই একটা লোকই আমার জীবনের সব অঙ্কের হিসাব গোলমাল করে দিয়েছে।’

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/