ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ফেডারেশন কাপে রেকর্ড গড়ে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

প্রকাশিত : ১১:২১ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১২:০১ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৮ শনিবার

ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল শেষ। শ্বাসরুদ্ধকর এই ফাইনালে এক গোলে পিছিয়ে পড়েও অসাধারণ খেলে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয় ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত আবাহনী। আর এ জয়ের ফলে ট্রফি জয়ের রেকর্ড করেছে আবাহনী। এবার নিয়ে দ্বিতীয়বার এ টুর্নামেন্টে হ্যাটট্টিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।

শুক্রবার রাতে ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ত্রিশতম আসরে ৩-১ গোলে নবাগত বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আবাহনী। দেশের ঘরোয়া ফুটবলে ফেডারেশন কাপের টুর্নামেন্টে আবাহনী-ই একমাত্র দল যারা ১১ বার ট্রফি ঘরে তোলার কৃতিত্ব দেখাল। এবার নিয়ে ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনালে খেলেছে ১৮টি আসরে।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ট্রফি জয়ের আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরেছে আবাহনী।

ম্যাচের ২১তম মিনিটে আলমগীর কবির রানার শট দৌড়ে এসে ফিস্ট করেন আবাহনীর গোলরক্ষক-অধিনায়ক শহীদুল আলম সোহেল। ফিরতি বলে বাঁ পায়ের গড়ানো শটে সোহেলকে পরাস্ত করে বসুন্ধরাকে লিড এনে দেন রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেস (১-০)।

বিরতি থেকে ফিরে ঘুরে দাঁড়ায় আবাহনী। ধার বাড়িয়ে দেয় আক্রমণের। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে রায়হান হাসানের থ্রোতে আফগান ফরোয়ার্ড মাসিহ সাইঘানি হেড করলেও বলের নাগাল পাননি। বলটি ডান পোস্ট ছেড়ে মাঠের বাইরে চলে যাবার আগ মুহূর্তে ডান পায়ের দারুণ শটে ম্যাচে সমতা এনে উল্লাসে ফেটে পড়েন নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা (১-১)। এরপর ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে দারুণ এক ক্রস দেন সোহেল রানা। সুযোগ হাতছাড়া করেননি সানডে। দারুণ শটে বল পাঠিয়ে দেন জালে (২-১)। এটা সানডের ষষ্ঠ গোল, টপকে যান বসুন্ধরার কলিনড্রেসকে।

আর ম্যাচের ৮২তম মিনিটে বসুন্ধরার হারের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয় আবাহনী। ওয়ালী ফয়সালের কর্নারে ব্যালফোর্টের নিচু হেড সরাসরি আশ্রয় নেয় জালে (৩-১)। বাকি সময়ে কোনও দর আর গোল করতে না পারায় বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।

বড় বাজেটের দল গড়েছিল বসুন্ধারা। রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা কোস্টারিকার খেলোয়াড় ছিল বসুন্ধারায়। কিন্তু ফুটবল অঙ্গনে পা রেখেই বসুন্ধরা ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখলেও শেষ পর্যন্ত খুশি থাকতে হয়েছে রানার্সআপ হিসেবে।

একে//