আবাহনী-বসুন্ধরার মধ্যে তুমুল মারামারি
লালকার্ড পেলেন চার ফুটবলার
প্রকাশিত : ১২:২৬ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৮ শনিবার
ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল শেষ। শ্বাসরুদ্ধকর এই ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসকে ৩-১ গালে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। এ নিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতল ধানমণ্ডির ক্লাবটি।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল ম্যাচে মাঠের লড়াইয়ের চেয়ে হাতের লড়াই বেশি হয়েছে। হাতহাতি, প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও, লাথি দিয়ে ফেলে দেওয়া সবই ছিল এই ম্যাচে। আর এই সবের কারণে দু’দলের চারজনকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়।
তবে মারামারিতে জড়িয়ে পড়া ফুটবলারদের বিপক্ষে এখনই শাস্তির কথা এখনই ভাবছে না বাফুফে। বরং খেলোয়াড়দের আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী।
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে হঠাৎই ম্যাচের জোড়া গোলদাতা সানডে চিজোবাকে আঘাত করেন বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা চিজোবার ঠিকানা হয় হাসপাতালে। কোচ-ক্লাব কর্মকর্তারা ফুটবলারদের বুঝিয়ে আবারো মাঠে ফেরান। মিনিট খানেক পর আবারো মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন খেলোয়াড়রা। এবার আবাহনী ফরোয়ার্ড জীবনের সঙ্গে কিংসের সুশান্তের হাতাহাতি। তবে সেটা ভিন্ন মাত্রা পায় মামুন ও সবুজ যোগ দেওয়ায়। আগ্রাসীভাবে এই দুই ফুটবলার প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের সঙ্গে মারামারিতে জড়ান।
এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ৮-১০ মিনিট। শৃঙ্খলা ফেরাতে দুই দলের চার খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ঢাকার ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম এক ম্যাচে চারটি লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবেক তারকা ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু ও ইমতিয়াজ আহমেদ জনি।তবে খেলার মাঠে পেশাদার ফুটবলারদের এমন অপেশাদার আচরণের পরও, কোনো ধরণের শাস্তির কথা বিবেচনায় আনছে না লিগ কমিটি। তবে ক্লাবের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আবাহনী ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রূপু।
একে//