ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ইউক্রেনের নৌজাহাজে রুশ হামলা

প্রকাশিত : ০৮:৫১ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৯:০৮ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৮ রবিবার

ইউক্রেন ও রাশিয়া মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে ক্রিমিয়া দখলকে কেন্দ্র করে। ২০১৪ সালে রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আন্দোলনের সূত্রে সামরিক অভিযান চালায় ইউক্রেন। রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মধ্যে হওয়া যুদ্ধে মারা যায় ১০ হাজার মানুষ।

সম্প্রতি ক্রিমিয়ার কাছে কৃষ্ণসাগরের সীমানা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে অচলাবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

রুশ গণমাধ্যম আরটি সূত্রে জানা যায়, আজ রোববার মস্কো সময় সকাল সাতটার দিকে ইউক্রেনের তিনটি জাহাজ ক্রিমিয়ার সমুদ্রসীমায় ঢুকে পড়ে। এর মাধ্যমে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশনের ১৯ ও ২২ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছে ইউক্রেন। 

এদিকে ইউক্রেনের নৌবাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়ার সীমান্তরক্ষীরা কৃষ্ণসাগরে তাদের একটি টাগবোটে হামলা চালিয়েছে যা প্রকাশ্য আগ্রাসী তৎপরতা। দুটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি টাগবোট আযব সাগরের মারিওপোল বন্দরে যাওয়ার সময় তাদের ওপর হামলা করে রুশ সীমান্তরক্ষীরা। আযব সাগরের ওই এলাকা নিয়ে আগে থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।

অন্যদিকে, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় সীমান্তরক্ষা বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের জাহাজের আগ্রাসী তৎপরতার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে মস্কো।

আজভ সাগর কৃষ্ণ সাগরে একটি খুবই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেখানে রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশেরই সমুদ্র সীমা রয়েছে।  ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া ওই সাগর দিয়ে ইউক্রেনের বন্দরে যাওয়া-আসাকারী জাহাজগুলোকে তল্লাশির নামে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। এমন কি আটক করে রাখার ঘটনাও ঘটাচ্ছে। এ অভিযোগের প্রতি সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। তারা ইউক্রেনকে টহল নৌযান দিয়েছে। তবে ইউক্রেনের নৌ বাহিনীর পাহারায় বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে সাগরের ওই এলাকা পার করে দেওয়ার প্রস্তাবে দ্বিমত জানান জেনারেল মুঝেনকো।

 

এসএইচ/