পাহাড়ে ইউপিডিএফবিরোধী সংগঠনের তাণ্ডব, গুলি, আতঙ্ক
প্রকাশিত : ০৮:৩৩ এএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার
পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারের জেরে বেশ কয়েকটি দোকান ও বসতঘরে হামলা চালানো হয়েছে। মারধর করা হয়েছে স্থানীয় নারীদের। এর আগে ৪০-৫০ জনের সশস্ত্র দল এলাকায় গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পর অস্ত্রধারীরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে তিনটি গ্রামের প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে ছড়িয়ে পরে ঘণ্টাব্যাপী চালায় তাণ্ডব।
বাঘাইছড়ি থানার ওসি এম এ মঞ্জুর জানান, আধিপত্য বিস্তারের কারণে এ রকম ঘটনার সংবাদ তিনি জেনেছেন, সম্ভবত ইউপিডিএফবিরোধী কোনো সংগঠন করে থাকতে পারে; তবে তিনি বিস্তারিত তখনো জানতে পারেননি।
গতকাল রোববার সকালে দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি সড়কের ১২ কিলোমিটার নামক এলাকার নোয়াপাড়া, বাজেপাতাছড়া ও আমতলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৭টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেল এবং সিএনজিযোগে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এলাকায় গিয়ে ফাঁকাগুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় আতঙ্কে গ্রামের পুরুষরা পালাতে শুরু করে। অস্ত্রধারীদের গায়ে ছিল কালো রঙের সেনাবাহিনীর পোশাকের আদলের পোশাক। তবে অস্ত্রধারীরা সবাই উপজাতীয়। হামলাকারীরা সড়কের পাশের দোকানে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।
দোকানের মালামাল ও আসবাবপত্র বাইরে ফেলে দেয়। তছনছ করা হয় দোকানঘর। বেশ কয়েকটি দোকানে এ রকম হামলা চালানো হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি দোকানে। এরপর একইভাবে হামলা চালানো হয় স্থানীয়দের বাড়িঘরে। হামলার সময় পুরুষদের না পেয়ে নারীদের মারধর করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা বলছিল, ইউপিডিএফকর্মীরা (প্রসিত) সে এলাকায় আসা-যাওয়া করে; এলাকায় আশ্রয়-প্রশ্রয় পায়, এটাই এলাকাবাসীর অপরাধ।
ঘটনার খবর পেয়ে দুপুরের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘটনাস্থলের আগে-পরে প্রায় সাত কিমি এলাকাজুড়ে সব দোকান বন্ধ। পুরো এলাকা থমথমে। নোয়াপাড়া এলাকায় ভাঙচুর করা হয়েছে বিটনের দোকান। সে দোকানে একজন বৃদ্ধাকে দেখা যায় চুপচাপ বসে থাকতে। তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। বাজেপাতাছড়া এলাকায় ভাঙচুর করা হয়েছে শিশু চাকমার দোকান। সেখানে সুজয় চাকমা নামে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে পাওয়া যায়। সুজয় জানায়, পার্টির লোকেরা সকালে এসব করে গেছে।
আরকে//