ইভিএমে ভোট চাইলেন আন্দালিব
প্রকাশিত : ১১:১৭ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের সংসদীয় আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এ ভোট চাইলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার বরাবর আবেদন করেছেন তিনি। ইভিএমে ভোটের জন্য প্রয়োজনে সব খরচ তিনি নিজেই দিতে রাজি আছেন।
এই আবেদনের চিঠিটি বিজেপির পক্ষ থেকে শুক্রবার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
সিইসির কাছে লিখিত আবেদনে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, আমি আন্দালিব রহমান পার্থ, চেয়ারম্যান , বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেটি। আমার নির্বাচনী এলাকা ১১৫ ভোলা-১ এর নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আবেদনের জবাব ২ ডিসেম্বরের মধ্যে দিতে অনুরোধ করেন আন্দালিব রহমান।
আবেদনে আন্দালিব রহমান আরও বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহারের জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খরচ বহন করতেও আমি রাজি আছি। যদি ব্যালট পেপার চালু করতে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের আঙুলের ছাপে যেই ২৫ শতাংশ প্রক্রিয়াকরণ করা আছে, এইটাকে কামিয়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ নিয়ে আসে তাহলে আরও স্বচ্ছতা আসবে। বিভিন্ন পত্রিকা সূত্রে জানতে পারলাম যে নির্বাচন কমিশন আপাতত ছয়টি আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করবে। যদিও আরও অনেক আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করার সক্ষমতা ও জনবল নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। এ অবস্থায় আমার নির্বাচনী আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯ (১) ধারা অনুযায়ী সকল নগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন বলিয়া উল্লেখিত।’ সেক্ষেত্রে অন্য ৬ আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে কিন্তু ইসির সক্ষমতা এবং পর্যাপ্ত জনবল থাকা সত্ত্বেও সংবিধানের ১৯(১) ধারা মোতাবেক ভোটাধিকারের মতন একটা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ করা না হলে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক হবে। আশা করি, বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে ভোলা-১ সদর আসনের পক্ষ হতে এই দাবি আপনি বিবেচনা করবেন।’
পার্থ আবেদনে আরও বলেন, এখানে উল্লেখ্য যে ক্ষমাতসীন আওয়ামী লীগ ইভিএমের পক্ষে। সুতারং ভোলা সদর আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নীতিগতভাবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন না। ২০ দলীও জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে থাকা সত্ত্বেও ভোলার জনগণের দাবিকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেটি ভোলা এই আসনে ইভিএম পদ্ধতির জন্য জোর অনুরোধ জানাচ্ছে। অন্যথায় এটা আমার এবং আমার নির্বাচনী আসন ভোলা- ১ (সদর) এর জনগণের প্রতি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত হবে, যা কি না বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা ২৭ এর পরিপন্থী। যেখানে উল্লেখ আছে ‘সকল নগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনে সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’ এই পত্রের জবার আগামী ২ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার মধ্যে দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
অপরদিকে শুক্রবার সিইসির বরাবর আরেকটি চিঠিতে আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোক্তার হোসেনকে প্রত্যাহার চেয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ভোলার পুলিশ সুপারের (এসপি) বিরুদ্ধে সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষ নেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে ভেলার পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হোক।
এসি