ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বাংলাদেশ থেকে সাংস্কৃতিক দলের ইথিওপিয়া সফর

প্রকাশিত : ১১:৪৯ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০১৮ রবিবার

সম্প্রতি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় একটি সাংস্কৃতিক দল ইথিওপিয়া সফর করে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক মো. শাওকাত ফারুকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের সাংস্কৃতিক দলে ছিলেন, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জি.এম.রফিকুল ইসলাম, স্বনামধন্য শিল্পী তপন চৌধুরী, ফাহমিদা নবীসহ পাঁচ সদস্যের সঙ্গীত দল এবং ছয় সদস্যের নৃত্য দল। ইথিওপিয়াতে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিষ্ঠার পর এ ধরনের উৎসবের আয়োজন এটাই প্রথম।

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবাতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস গত ২৩ নভেম্বর স্থানীয় গেটফাম ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে ‘বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি- Images of Bangladesh শীর্ষক’ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

উৎসবে ইথিওপিয়া সরকারের মন্ত্রীবর্গ, আদ্দিস আবাবার ১৩০টি বিদেশি কূটনৈতিক দূতাবাস, আফ্রিকান ইউনিয়ন, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, সমাজের ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, শিল্পী এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানস্থলটি অভ্যাগতদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। উৎসবে ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম্ব্যাসেডর মার্কোস টেকলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া প্রায় ৫০টি দেশের দূতাবাস প্রধান এবং তাদের পরিবার, বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, ইথিওপিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।

উৎসবের শুরুতেই ছয়জন নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনায় ‘জ্বলে ওঠো বাংলাদেশ’ শীর্ষক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। এর পরপরই মান্যবর রাষ্ট্রদূত তার স্বাগত ভাষণে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে সম্ভাষণ জানান। প্রায় দু’ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন নৃত্য পরিবেশন করা হয়।

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী তপন চৌধুরী, ফাহমিদা নবী এবং যন্ত্রসঙ্গীত দল বিভিন্ন ধরনের বাংলা গান পরিবেশন করেন ।

সর্বশেষ একটি দেশাত্মবোধক নৃত্যে বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি এবং আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা ফুটিয়ে তোলা হয়। উৎসবে আগত দর্শনার্থীবৃন্দ অত্যন্ত আগ্রহ ভরে বাংলাদেশ দূতাবাসের এ আয়োজন উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠান শেষে আগত দর্শনার্থীদের জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের পরিবেশনায় সান্ধ্যভোজের আয়োজন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে স্থানীয় ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং অনুষ্ঠানের  রেকর্ডকৃত অংশ বিশেষ পরে স্থানীয় টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়।

কেআই/ এসএইচ/