ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ পাচ্ছে ইপিজেড শ্রমিকেরা
প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১০:১৬ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার
‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৮’র খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন এ আইনে ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ পাচ্ছে ইপিজেড শ্রমিকেরা। সংসদ অধিবেশন না থাকায় আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রম আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। শ্রমিক বান্ধব করার লক্ষ্যে এই আইনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশ এবং কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি জানান, শ্রমিকদের জন্য নমনীয় করে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে এবং একটি শ্রমিক সংগঠন গঠনের জন্য ন্যূনতম সদস্যপদের সীমা ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এই আইন অনুসারে যেকোন ধর্মঘট কার্যকর করার জন্য ইপিজেডের শ্রমিক সংগঠনগুলোকে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের তিন-চতুর্থাংশের পরিবর্তে দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ শ্রম আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে শ্রমিক সংগঠনগুলো তাদের শ্রমিক কল্যাণ সমিতির গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে পারবে।
নতুন আইনে, চাকুরিতে ইস্তফা দেওয়ার জন্য একজন কর্মি ‘সার্ভিস বেনিফিট’ হিসাবে বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী চাকুরি জীবনের প্রতিবছর থেকে ৩০ দিনের পরিবর্তে ৪৫দিনের বেনিফিট পাবেন, যা চাকুরির ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর কার্যকর হবে।
এই আইনের আওতায়, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) পাশাপাশি ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর’ কলকারখানাসমূহ পরিদর্শন করতে পারবে।
এ আইনে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং শ্রমিক সংগঠন গঠনের পূর্বে ‘রেফারেন্ডাম’-এর বিধান ও নতুন শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার তিন মাসের মধ্যে শ্রমিক সংগঠন গঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিধান বাতিল করা হয়েছে।
সূত্র-বাসস
আরকে//