ভিকারুননিসার প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
প্রকাশিত : ০৩:৪১ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:৪৪ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
স্কুলে ডেকে নিয়ে বাবা-মাকে অপমান করায় ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় ভিকারুননিসার প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপের মুখে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্কুলটির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার জন্য এই শিক্ষক দায়ী, এমন অভিযোগে করছেন শিক্ষার্থী।
এই আন্দোলনের মধ্যে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষমা চান স্কুলটির প্রিন্সিপাল নাজনীন ফেরদৌস। আজ মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যম কর্মীরা বেইলি রোডের স্কুল প্রাঙ্গনে তার কার্যালয়ে গেলে সবার সামনে হাত জোর করে ক্ষমা চান তিনি। নাজনীন ফেরদৌস বলেন,বিষয়টি অনাকাক্ষিত। ঘটনাটি এতদূর গড়াবে তা অনুধাবন করতে পারিনি। এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেবে। আত্মহত্যার ঘটনায় আমি সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
এর আগে সকালে স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনো ত্রুটি পেলে,স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অরিত্রির মা-বাবা জানান, অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অরিত্রির বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার স্কুলে পরীক্ষার সময় তার মেয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়েছিল। মোবাইল ফোনে নকল আছে-এমন অভিযোগে ওই স্কুলের শিক্ষক তাদের স্কুলে আসতে বলেন। সোমবার পরীক্ষার সময় অরিত্রির সঙ্গে তারা স্কুলে যান। পরে তাদের ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে নিয়ে গেলে তারা মেয়ের নকল করার ব্যাপারে ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু ভাইস প্রিন্সিপাল কিছু করার নেই বলে তাদের প্রিন্সিপালের রুমে যেতে বলেন। সেখানে গিয়েও তারা ক্ষমা চান। কিন্তু প্রিন্সিপালও তাতে সদয় হননি।
পরে তার মেয়ে প্রিন্সিপালের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলেও তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন এবং পরের দিন টিসি নিয়ে আসতে বলেন। অরিত্রির মা-বাবার অভিযোগ, প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করায় তার মেয়ে দ্রুত বাসায় চলে যায়। পরে তারা গিয়ে দেখে অরিত্রি নিজ রুমে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আছে।
এসএ/ টিআর/