ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন করবে রোবট কুকুর

প্রকাশিত : ০৩:৪৭ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৩:৪৯ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮ বুধবার

এয়ারপোর্টে ঢুকে আপনি দেখলেন আপনার লাগেজ ব্যাগটি একটি কুকুর এসে শুঁকে চলে গেল। সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ)-কে এ ভাবেই নিরাপত্তার কাজে সাহায্য করে থাকে এই সব কুকুরেরা।

তবে আগামিদিনে এই দৃশ্য আর নাও দেখা যেতে পারে।নিরাপত্তার কাজে সিআইএসএফকে সাহায্য করতে রক্ত-মাংসের কুকুরের বদলে আসতে চলেছে ফ্যাক্টরিতে তৈরি রোবট কুকুর।

আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, জাপান, কোরিয়ার মতো দেশগুলিতে নিরাপত্তার জন্য এই ধরনের রোবট কুকুর ব্যবহার করা হয়। এ বার সেই পথে হাঁটার কথা ভাবছে ভারতের বিমানবন্দরগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ।

গত সপ্তাহে কানাডার মন্ট্রিয়লে অনুষ্ঠিত হয়েছিল গ্লোবাল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি সিম্পোজিয়াম ২০১৮। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) এই সম্মেলনের আয়োজন করে থাকে। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিআইএসএফের ডিজি রাজেশ রঞ্জন ও অতিরিক্ত ডিজি এম এ গণপতি।

সেখানে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আইসিএও-র অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনা করেছেন সিআইএসএফের এই দুই শীর্ষ অফিসার। সিআইএসএফের এক অফিসার বলেছেন, ‘আমেরিকার ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএসএ)-এর সঙ্গে আমাদের চুক্তি ছিলই। নিরাপত্তায় আরও প্রযুক্তিগত সহায়তার পথে হাঁটতে এবার আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি করব।’

রোবট কুকুরের নিয়োগ ছাড়াও সিটি স্ক্যান নির্ভর হাত ও কেবিন লাগেজের পরীক্ষা, বিস্ফোরক শনাক্তকরণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের ব্যাপারেও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ওই সভায়।

বিমান পরিবহণকে ব্যবহার করে সোনা পাচার, ড্রাগ পাচার ও বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রবণতা সারা বিশ্ব জুড়েই ক্রমবর্ধমান। ভারতেও বিভিন্ন বিমানবন্দর দিয়ে ড্রাগ ও সোনা পাচারের চেষ্টার খবর প্রায়শই সামনে আসে।

তাই বিমানবন্দরকে ব্যবহার করে এই ধরনের অপরাধ রুখতে শুধু মানব দক্ষতার উপর নির্ভর করে থাকতে চায় না সিআইএসএফ। পাশাপাশি পুরোদস্তুর প্রযুক্তি ব্যবহার করার পথেও হাঁটতে চায় তারা।

নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তি নির্ভর করতে ইতিমধ্যেই দেশের কিছু বিমানবন্দরে বায়োমেট্রিক স্ক্যানার সিস্টেম চালু করেছে সিআইএসএফ। সে জন্যই রোবট কুকুরের ব্যবহারও খুব শীঘ্রই শুরু করতে চায় তারা। 

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার 

এমএইচ/