পিস সামিট: তৃতীয় সংস্করণ
প্রকাশিত : ০৩:৩৭ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
সাম্প্রতিক সময়ে সর্বাধিক আলোচিত সমস্যার সমাধানের জন্য আলোচনা, সহযোগিতা এবং বিকাশের একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম। এই উদ্যোগটি যৌথভাবে প্রেনিউর ল্যাব যা একটি প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা, যা যুব, নারী ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করে এবং ইএমকে সেন্টারের আয়োজনে আয়োজিত হয়।
দুইদিনব্যাপী পিস সামিটের তৃতীয় সংস্করণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। পিস সামিটের তৃতীয় সংস্করণের বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং তরুণ প্রজন্মের উপর সাধারণ নির্বাচন ২০১৮ এর প্রভাব এবং মিডিয়ার ভূমিকা’।
এই সামিটে অর্থনীতিবিদ, সম্পাদক, সাংবাদিক, ছাত্র, তরুণ পেশাদার, শিক্ষাবিদ এবং শিল্প নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের অর্থনীতি ও প্রচার মাধ্যমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ভুল সংবাদ, মিডিয়া প্রভাব, তরুণদের কর্মসংস্থান, নতুন স্টার্টআপ তৈরি, সহজে ব্যাবসা করা, নারীর অংশগ্রহণ, দক্ষ জনশক্তি, এনআরবি নেটওয়ার্ক এবং অন্যান্য প্রধান বিষয়গুলোকে আলোকপাত করা হয়েছে। এই আলোচনার মধ্যে এমন চ্যালেঞ্জগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা উন্নয়নের বাধার কারণ হতে পারে।
প্রথম দিন
প্রথম দিনের থিম ছিল ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সাধারণ নির্বাচন ২০১৮ এর প্রভাব এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য সুযোগ’। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান তরুণ অংশগ্রহণকারীদের সামনে বক্তব্য রাখেন। এই সেশনটি ২ ঘণ্টা সময় ধরে পরিচালিত হয়। তারপরে একটি তরুণ পেশাজীবীদের তত্ত্বাবধানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা গ্রুপে ভাগ হয়ে রেজোলিউশন পেপার তৈরি করে এবং উপস্থাপন করে।
বিকেলে সেশনে, অংশগ্রহণকারীরা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, শিল্প নেতৃবৃন্দ, উন্নয়ন পেশাদারদের একটি প্যানেলের সামনে রেজুলেশন উপস্থাপন করেন। শেষ সেগমেন্টটি ছিল যৌথ মীমাংসার উপর একটি গোলটেবিল বৈঠক এবং ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে কীভাবে শক্তিশালী অর্থনীতির দিকে পরিচালিত করা উচিত সেই বিষয়ে।
এটিএম নুরুল আমিন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যক্ষ ও চেয়ারপারসন, ফাহিম মাসুর, প্রতিষ্ঠাতা, বিডিজবস ডটকম, মাহমুদা আফরোজ, ডেমোক্রেটিক গভর্নেন্স ক্লাস্টার, ইউএনডিপি, মীর ওবায়দুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ও অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ইউআইইউ উল্লেখযোগ্য বক্তাদের মধ্যে ছিল।
দিনের শেষে প্রেনিউর ল্যাবের সিইও আরিফ নিজামী ও চেয়ারম্যান রাখশান্দা রুখাম উদ্বোধন করেন www.Amar.Vote, যেটা জনসাধারণের বক্তব্য, অংশগ্রহণকারীদের এবং অতিথিদের সঙ্গে জনসাধারণের উপস্থাপনা এবং নির্বাচনের তথ্যগুলোর জন্য একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম।
দ্বিতীয় দিন
পিস সামিটের দ্বিতীয় দিনের থিম ছিল ‘আসন্ন নির্বাচনে প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা’ যেখানে সম্পাদক, সাংবাদিক, প্রচার মাধ্যম কর্মী ও ফেসবুক সাউথ ইস্ট এশিয়া পাবলিক ও পলিসি দলের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। প্রোগ্রামটি ফেসবুক সাউথ ইস্ট এশিয়া পাবলিক পলিসির পরিচালক শিভনাথ ঠাকরাল এর পরিচালনায় ফেক নিউজ, উগ্রবাদি প্রপাগান্ডা ফেসবুক কিভাবে মোকাবিলা করে সে বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে অধিবেশন শুরু করেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয়। ফেসবুক এছাড়াও প্রতি ত্রৈমাসিকে সরকারি অনুরোধের স্বচ্ছ ট্রান্সপ্যারেন্সি রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে।
ফেসবুকের পাবলিক পলিসি ম্যানেজার ভরুন রেড্ডি নিরাপত্তার জন্য ফেসবুক কমিউনিটির নির্দেশিকাগুলো নিয়ে আরেকটি সেশন পরিচালনা করেন।
পরবর্তী অংশে প্রধান সংবাদ সম্পাদক এবং মিডিয়া বিশেষজ্ঞরা ‘আসন্ন নির্বাচনের প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা’ নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। মিথিলা ফারজানা, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সম্পাদক, একাত্তর মিডিয়া লিমিটেড, জহিরুল আলম, প্রধান সংবাদ সম্পাদক- এনটিভি, সেলিম খান, অভারসিজ সম্পাদক, প্রথম আলো, সুচিত্রা মল্লিক, সিনিয়র সাব এডিটর, ঢাকা ট্রিবিউনসহ আরও অনেকে আলোচনায় অংশ নেন।
বক্তারা নির্বাচনের সময় সামাজিক প্রচার মাধ্যমের প্রভাব নিয়ে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
অন্যান্য বক্তাদের পাশাপাশি, আসিফ মুনীর, থিয়েটার রাইট অ্যাক্টিভিস্ট, জামাল উদ্দিন, সাবেক সভাপতি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, তাসমিয়া নুহিয়া, নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক আমাদের সময়, সৈয়দা সামারা মোর্তাদা- যোগাযোগ বিশ্লেষক, ইউ যেন উইমেন বাংলাদেশ, আয়শা মাহমুদ, ব্রডকাস্ট সাংবাদিক ও সংবাদ উপস্থাপক, গণমাধ্যমের প্রভাব নিয়ে তাদের চিন্তাধারা প্রকাশ করেছেন। প্রেনিউর ল্যাবের সিইও আরিফ নিজামীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় এই অধিবেশনটি।