নাইকো দুর্নীতিতে খালেদা জিয়া ও তারেকের সংশ্লিষ্টতা পরিষ্কার: জয়
প্রকাশিত : ১২:১৩ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৩:২৮ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার
নাইকো দুর্নীতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মন্তব্য করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
আজ শনিবার তিনি তার নিজের ফেইসবুক পেজে নাইকো দুর্নীতিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সংশ্লিষ্টতা পরিষ্কার দাবি করে পোস্ট দিয়েছেন ।
জয় তার ফেসবুক পেজে গত শুক্রবার মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই ও রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সাক্ষ্য করা নথিসহ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এতে তিনি লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই ও রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছে যা আমাদের দেশের আদালতে ইতোমধ্যে ফাইল করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নাইকো দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতা পরিষ্কার। সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি স্টেটমেন্ট পোস্ট করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুরোধের পর ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে নাইকো দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন এফবিআই’র আন্তর্জাতিক অর্থ পাচার ও সম্পদ উদ্ধার বিশেষজ্ঞ স্পেশাল এজেন্ট ডেবরা লাপ্রেভোটে গ্রিফিত। ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি চারবার বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সময় ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি অ্যাগেইন্সট গ্রিয়েভাস অফেন্সেস (এনসিসিএজিও)-এর সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশি তদন্তকারীদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। তদন্ত কাজে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড ও কানাডা থেকে নথি সংগ্রহ করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক এমপি এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরিফ।
টিআর/