মরণব্যাধি কোলন ক্যানসারের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়
প্রকাশিত : ০৩:২৬ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০১:০৯ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮ রবিবার
যখন বৃহদান্ত্রের কোষগুলো অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়, তখন তাকে কোলন ক্যানসার বলে। নারী ও পুরুষ, উভয়ের মধ্যেই দেখা যায় কোলন ক্যানসার। অন্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী পলিপ, দীর্ঘস্থায়ী আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ, ডায়বেটিস, অনিয়ন্ত্রিত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপানের অভ্যাসের ফলে কোলন ক্যানসার হতে পারে। পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। নারীদের তুলনায় পুরুষদের কোলন ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এবার চিনে নিন কোলন ক্যানসারের লক্ষণগুলো-
১) পায়খানার সঙ্গে রক্তক্ষরণ,
২) হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া,
৩) দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা,
৪) তীব্র পেটব্যথা,
৫) রক্তশূন্যতা,
৬) সব সময় বমি বমি ভাব।
তবে খাবার এবং কিছু নিয়মের মাধ্যমে মারাত্মক এই ব্যাধিটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। গবেষকরা বলেন, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে কোলন ক্যানসারের শতকরা ৪৫ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে ঠিক কী কী করণীয়।
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন
আপনি যদি কোলন ক্যানসার হওয়া থেকে নিজের শরীরকে রক্ষা করতে চান তাহলে অবশ্যই আজ থেকে নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের ব্যায়াম আপনাকে বাঁচাতে পারে এই ভয়াল রোগ থেকে।
ধূমপান ত্যাগ করুন
৪০ বছর বয়স পেরনোর পর প্রায় ১৭ শতাংশ মানুষ এই কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন ধূমপানের খারাপ অভ্যাসের কারণে। আপনি যদি একজন ধূমপায়ী হয়ে থাকেন, তাহলে শরীরের সুস্থতার জন্য আজ থেকেই এই ধূমপানের অভ্যাস পরিত্যাগ করার চেষ্টা শুরু করুন।
লাল মাংস খাবেন না
বেশি পরিমাণে লাল মাংস (রেড মিট) খেলে পেটের সমস্যা হয়, বৃহদান্ত্রের চর্বি বৃদ্ধি পায়। যা থেকে হতে পারে কোলন ক্যানসার। তাই কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে এই লাল মাংস (রেড মিট) খাওয়া কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে রেড মিটের পরিবর্তে অন্যান্য প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
পেটের মেদ কমিয়ে আনুন
পেটের অতিরিক্ত মেদ হওয়া কোলন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই যতটা সম্ভব ডায়েট এবং শরীরচর্চার অভ্যাস করে এই পেটের মেদ ঝরিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।
বেশি করে শাকসবজি আর ফলমূল খান
আপনার শরীরের হজমকে সঠিক মাত্রায় পরিচালিত করতে সবুজ শাক-সবজি আর ফলমূল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই যতটা সম্ভব সবুজ শাক-সবজি আর ফলমূল খান এবং শরীরকে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধের উপযুক্ত করে তুলুন।
গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন
গ্রিন টিতে অনেক ধরনের উপকারী উপাদান রয়েছে, যা কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। তাই কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং নিজেকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখুন।
ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন
কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি গ্রহণ করা অত্যন্ত আবশ্যক। তাই নিয়ম করে এই কালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খান এবং শরীরকে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধের উপযুক্ত করে তুলুন।
সূত্র: জিনিউজ
একে//