ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙালেন অধ্যক্ষ

প্রকাশিত : ০৩:২৮ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮ রবিবার

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রীদের একটি অংশ অনশন ভেঙেছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান প্রতিষ্ঠানটির সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হাসিনা বেগম।

রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির বেশকিছু শিক্ষককে নিয়ে গেটের বাইয়ে এসে ‘অনশন’ কর্মসূচি পালন করা শিক্ষার্থীদের পানি পান করান তিনি।

এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের প্রতি ভালোবাসার টানে তোমরা আন্দোলনে নেমেছো। তোমাদের এই ভালবাসায় আমরা অনেক খুশি হয়েছি। কিন্তু আমরা ক্লাসে বসে থাকবো আর তোমরা ক্লাস বর্জন করে বাইরে বসে অনশন করবে তা হতে পারে না। অনশন করতে হয় সবাই একসঙ্গে কবরো।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে তাই আইনিভাবে এটি মোকাবেলা করা হবে। আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এ অবস্থায় তোমরা যদি আন্দোলন অব্যাহত রাখ তাহলে বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করবে।

পরে তিনি শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় তাদের প্রতিষ্ঠানের ভেতরে নিয়ে যান।

এর আগে রোববার সকালে অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ‘প্রচারণার’ মামলায় কারাগারে থাকা হাসনা হেনা মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল। এরপর নতুন কর্মসূচি ঘোষণার আগেই শিক্ষার্থীদের ফটকের ভেতরে নিয়ে যান শিক্ষকরা।

উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি। অরিত্রীর পরিবারের অভিযোগ, পরীক্ষার সময় অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়ার পর তার বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে ‘অপমান করেছিলেন’ অধ্যক্ষ। সে কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেন। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রী রোববার বার্ষিক পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকলসহ ধরা পড়েছিলেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচণাকারী’ হিসেবে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার শিফট ইনচার্জ জিনাত আখতার ও প্রভাতী শাখার শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে মামলা করেন অরিত্রির বাবা। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পুলিশ ও র‌্যাবকে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই রাতেই হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।