ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

শ্রমিকের মৃত্যু বারবারই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে শ্রম নিরাপত্তার বিষয়টি

প্রকাশিত : ০৩:৩৯ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:০৯ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার

কয়েক দশকের মধ্যেই দেশে শিল্পের বিকাশ ঘটলেও একের পর এক দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু বারবারই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে শ্রম নিরাপত্তার বিষয়টি। এজন্য মালিকদের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঝুঁকিমুক্ত কর্মপরিবেশের জন্য আলাদা নীতিমালা দরকার বলেও মনে করেন তারা। শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে, অপরিকল্পিত শিল্পায়নই ধারাবাহিক দুর্ঘটনার কারণ। গত কয়েক দশকে কৃষি থেকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। কিন্তু  একই সাথে শ্রমিকের জীবনমান ও নিরাপত্তাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বার বার। বেসরকারী সংস্থা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ....বিলস এর তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ বছরে শিল্প দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৫ হাজার তিন’শ ৩৯ শ্রমিক। আহত হয়েছে আরো প্রায় ১১ হাজার। আইএলও’র পরিসংখ্যান বলছে, গত সাত বছরে বিশ্বে শিল্প দুর্ঘটনার ৮০ ভাগই হয়েছে বাংলাদেশে। ২০১২ সালে তাজরীন ফ্যাশনসে আগুনে পুড়ে মারা যান ১১২ জন। আহত হন বহু শ্রমিক। ভয়ংকর সেই স্মৃতি আজো তাড়িয়ে বেড়ায় তাদের । ২০১৩ সালে সাভারে ঘটে যায় দেশের গার্মেন্ট শিল্পের ইতিহাসে সবচে বড় ট্রাজেডি। রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারান এগারোশ জনের বেশি শ্রমিক। আহত হয় প্রায় আড়াই হাজার। এখনও থামেনি স্বজনহারাদের আর্তনাদ। আর সম্প্রতি টঙ্গীতে ঘটে গেছে টাম্পাকো ট্রাজেডি। ভয়াবহ আগুনে পুড়ে মারা গেছে শ্রমিক। এখনও নিখোঁজ কয়েকজন। দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় দুর্ঘটনা রোধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। আইনের সঠিক প্রয়োগ আর শ্রম নিরাপত্তা নিয়ে আলাদা নীতিমালা তৈরিও তাগিদ দিলেন তারা। শিগগিরই কারাখানাগুলো পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমিন্ত্রীও বলছেন, শ্রম নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা না গেলে সামগ্রিক উন্নয়নই বাধাগ্রস্থ হবে।