উন্নয়নে বাংলাদেশ অনুকরণীয় মডেল : শিল্পমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৮:১৫ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৪২ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার এক অনুকরণীয় মডেল। আজ রাজধানীর বিসিক মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বিজয় মেলা-২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়েল ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিসিক চেয়ারম্যান মুস্তাক হাসান মোহাম্মদ ইফতেখার বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সহশ্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পর এসডিজি অর্জনের পথে দ্রুত সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে চলেছে। এ অর্জনের পেছনে সমৃদ্ধ শিল্পখাত ইতিবাচক অবদান রাখছে। বিগত দশ বছরে বাংলাদেশের শিল্প, সেবা ও কৃষিসহ সব খাতে উৎপাদনশীলতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩৩ দশমিক ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ছিল ১৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় বাঙালিরা এখন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা-বাণিজ্যের মালিক হয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের আগে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি শিল্পপতি বলতে তেমন কেউ ছিল না। তখন এ ভূ-খন্ডে যেসব কল-কারখানা ছিল, তার প্রায় সবই ছিল পশ্চিম পাকিস্তানীদের মালিকানায়। এমনকি শিল্প কারখানার ব্যবস্থাপনায়ও বাঙালিদের কোনো অবস্থান ছিল না। ১৯৫৭ সালে বঙ্গবন্ধু ইপ্সিক তথা বর্তমান বিসিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাঙালি শিল্প উদ্যোক্তা তৈরির পথ সুগম করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর একটি নির্দেশনায় গোটা নিরস্ত্র বাঙালি জাতি সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অসীম সাহস ও নেতৃত্বের দৃঢ়তার ফলে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। অতঃপর অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যখন দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচিকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, তখনই বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর অসৎ উদ্দেশে তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
আমির হোসেন আমু বলেন, আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। তিনি বিগত দশ বছরের তুলনামূলক সাফল্য উল্লেখ করেন।
তিন দিনের এ বিজয় মেলা আগামী ১৩ ডিসেম্বর শেষ হবে। এতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ পণ্য, প্রযু্িক্ত ও সেবা প্রদর্শন করছে। মেলা প্রতিদিন বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তথ্যসূত্র: বাসস।
এসএইচ/