ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

অবৈধকে বৈধ করার সুযোগ

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের সুবিধা দিচ্ছে সরকার

প্রকাশিত : ১০:০৩ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:১৯ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স দিয়ে অবৈধ স্বর্ণ বৈধ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের সুবিধা পেলেন।

এ জন্য প্রতি ভরিতে কর-ভ্যাটসহ মোট এক হাজার টাকা দিতে হবে। স্বর্ণের পরিমাণ যাই হোক না কেন ভরিপ্রতি এক হাজার টাকা দিলেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তরা স্বর্ণের উৎস সম্পর্কে আর কোনো প্রশ্ন করবেন না। একই সুবিধা দেওয়া হয় ডায়মন্ডের ক্ষেত্রেও। প্রতি ক্যারেট ডায়মন্ডে ৬ হাজার টাকা ট্যাক্স পরিশোধ করলে তা বৈধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি উৎসাহিত করতে এর আমদানি শুল্ক্কও কমানো হয়েছে। বর্তমানে কেউ বৈধ পথে স্বর্ণ আনতে চাইলে প্রতি ভরিতে শুল্ক্ক দিতে হয় ৩ হাজার টাকা। এটা কমিয়ে দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে শিগগিরই আদেশ জারি করবে।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এসব বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্নিষ্ট ব্যবসায়ীরা সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এতে স্বর্ণের চোরাচালান কমবে এবং দেশ থেকে স্বর্ণালঙ্কার রফতানি উৎসাহিত হবে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা স্বর্ণ নিলাম ডাকা হবে। খুব শিগগির এ উদ্যোগ নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া ব্যাগেজ রুলের আওতায় স্বর্ণ আগের নিয়মেই আনা যাবে। এর আওতায় বর্তমানে যে কেউ বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময় বিনা শুল্ক্কে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৬৫ গ্রাম স্বর্ণ আনতে পারেন। এর বেশি পরিমাণ আনতে হলে প্রযোজ্য হারে শুল্ক্ক-কর পরিশোধ করতে হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ জমা আছে। নিয়ম অনুসারে মামলা নিষ্পত্তির পর রক্ষিত স্বর্ণ নিলামে তোলার কথা। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৩ জুলাইয়ের পর নিলামে আর স্বর্ণ বিক্রি করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে একদিকে যেমন এসব স্বর্ণ অব্যবহূত রয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। কেননা, এই পরিমাণ স্বর্ণ নিলামে তুললে সরকারি কোষাগারে হাজার কোটি টাকা জমা হতো।
এসএ/