বাংলাদেশে যেভাবে ছড়িয়ে পড়ল মানবতার দেওয়াল
প্রকাশিত : ০৪:২৬ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনগুলো তৈরি করেছে মানবতার দেওয়াল। যেখান থেকে একের রেখে যাওয়া জিনিস অন্যের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে নিয়ে যেতে পারছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই ধারণাটি।
লালবাগ স্পোর্টিং ক্লাবের দেওয়ালে এমনই একটি মানবতার দেওয়াল তৈরি করেছেন মাহবুবুর রহমান রিপন। তিনি বলেন, একটি দেওয়ালে দেখেছিলাম মানবতার দেওয়াল নামে কেউ একজন করেছিল।সেটা দেখে আমরা অনুপ্রাণীত হয়েছি যে আমাদেরও এমন কিছু করা উচিত।
মানবতার দেওয়াল কে কখন কোথায় শুরু করেছিল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটার শুরুটা সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা নেই। তবে আমরা একটা পোস্ট দেখে অনুপ্রাণীত হয়েছি।
তবে জনশ্রুতি আছে যে কিশোরগঞ্জের এক স্কুল শিক্ষিকার মাধ্যমে ছড়াই এই মানবতার দেওয়াল ধারণাটি।স্কুলের শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে গিয়ে কয়েক মাস আগে তার স্কুলে এটি চালু করেন এবং ফেসবুকে পোস্ট করেন।
কিশোরগঞ্জের দক্ষিণ মুকছেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই স্কুল শিক্ষিকা তানজিনা নাজনিন মিষ্টি বলেন, যারা জানে তারা এটা চালু করে আমাকে ট্যাগ করার পর বলছে যে নাজনিন মিষ্টি আপু দেখেন……..। আপনার এ ধারণাটি আমরা কিভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছি।তখন আমি আমার ফেসবুক ইনবক্সে উত্তর দেয়, দেখেন এই ধারণাটি কিন্তু আমার না।
তাহলে ধারণাটি কার এমন প্রশ্নের জবাবে নাজনিন বলেন, আমি ২০১৭ সালে স্কুলের একটা ট্রেনিংয়ে গিয়েছিলাম।সেখানে একটা ম্যাডামের কাছে আমি ধারণা পাই।ইয়াসমিন আক্তার নামের ওই ম্যাডাম তার স্কুলে চালু করেছিলেন ২০১৫ সালে।তারপর এসে আমার স্কুলে এটি চালু করি।
ইয়াসমিন আক্তার মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষাকা। ২০১৪ সালের শেষের দিকে তার স্কুলে প্রথম মানবতার দেওয়াল তৈরি করেন তিনি।২০১৭ সালে বেশকিছু উদ্ভাবনী শিক্ষাদান পদ্ধতির জন্য জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হন।
যদিও এ ধারণাটি বাংলাদেশে-ই প্রথম না।ইরান, পাকিস্তান ও ভারতসহ কয়েকটি দেশে অভাবী মানুষের সাহায্যের জন্য এ ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।বাংলাদেশে এ ধারণাটি জনপ্রিয়তা পায় এই দুইজন স্কুল শিক্ষিকার মাধ্যমে।
আরকে//