বাংলাদেশের ১০ গোলে বিধ্বস্ত মালদ্বীপ
প্রকাশিত : ১০:১২ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার
থাইল্যান্ডের বুরিরামে প্রত্যাশিত জয়ের আনন্দ আশিকুর-হেলালদের। উয়েফা অ্যাসিস্ট মিনি প্রজেক্টের অধীনে চার জাতি প্রতিযোগিতায় শুক্রবার মালদ্বীপকে ১০-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ। হ্যাটট্রিক করেছেন আশিকুর ও হেলাল। দুটি করে গোল উচ্ছ্বাস ও রাসেলের। তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়ে চার জাতি টুর্নামেন্ট শেষ করে মোস্তফা আনোয়ার পারভেজের দল।
গত অক্টোবরে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপকে ৯-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল দল। ম্যাচটি হয়েছিল নেপালে। দু’মাস পর থাইল্যান্ডে ফিরল সেই স্মৃতি। এবারও লাল-সবুজ কিশোরদের কাছে পাত্তাই পেল না মালদ্বীপের কিশোররা। তবে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়িয়েছে মেহেদীরা। বুরিরামে আগের দুই ম্যাচে ২৮ গোল হজম করা মালদ্বীপ কিশোরদের জালে প্রথমার্ধেই পাঁচবার বল জালে জড়ায় বাংলাদেশ। এই ৪৫ মিনিটের মধ্যেই নিজের হ্যাটট্রিকও পূর্ণ করেন লাল-সবুজ অধিনায়ক হেলাল আহমেদ। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ফ্রিকিক শটে নিজের সঙ্গে দলের গোল খাতা খোলেন হেলাল (১-০)। তিন মিনিট পরই বক্সের ভেতর জোরাল এক শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক (২-০)। হেলালের আরেকটি জোরাল শটেই ৩৩ মিনিটে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৩-০। সেই সঙ্গে পূর্ণ হয় তার হ্যাটট্রিকও। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি শটে আশিকুর রহমান লাল-সবুজদের আরও এগিয়ে দেন (৪-০)। মিনিটদুয়েক পর নিহাত জামান উচ্ছ্বাসের শটে বল জাল খুঁজে পেলে ৫-০ গোলের ব্যবধানে বিরতিতে যায় লাল-সবুজরা। দ্বিতীয়ার্ধেও থামানো যায়নি বাংলাদেশের গোলবন্যা। ৪৮ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বলে মাথা ছুঁয়ে দলের ষষ্ঠ গোলটি করেন ফরোয়ার্ড রাসেল আহমেদ (৬-০)। ৫৯ মিনিটে সপ্তম গোলটি আসে নিহাত জামান উচ্ছ্বাসের পা থেকে (৭-০)। অষ্টম গোলটি এসেছে ৬৫ মিনিটে রাসেল আহমেদের মাধ্যমে (৮-০)। ৭৫ মিনিটে দলের হয়ে নবম গোলটি করেন আশিকুর রহমান। আর ম্যাচের অন্তিম সময়ে আরও একটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন আশিক (১০-০)। সেই সঙ্গে ১০-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
আসরে প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী সাইপ্রাসের কাছে ৪-০ গোলে হারে বাংলাদেশ কিশোর ফুটবল দল। দ্বিতীয় ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়ে এগিয়ে থেকেও ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোস্তফা আনোয়ার পারভেজের শিষ্যরা। তিন ম্যাচে সমান একটি করে জয়, ড্র ও হারে বাংলাদেশের পয়েন্ট চার। পয়েন্টের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ।
এসএ/