ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে মানসিক ভারসাম্যহীন সাবিহা

প্রকাশিত : ০৯:২৩ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০৯:২৩ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বুধবার

শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক ও মানসিক  নির্যাতন সইতে না পেরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন গৃহবধূ সাবিহা। পরে তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় ঠাকুরগাওয়ে বাবার বাড়ি। অসহায় দরিদ্র বাবা মা মেয়ের চিকিৎসা করাতে না পেরে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে তাকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। ভয়েজওভার:স্বপ্নগুলো যখন ডানা মেলছিলো ঠিক তখনই খাঁচায় বন্দি হয়ে যান সাবিহা; নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। এরপর থেকে কারণে-অকারণে তার ওপর নির্যাতন চালায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন। নির্মম নির্যাতনে একপর্যায়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে কিশোরি সাবিহা- পাঠিয়ে দেয়া হয় বাবার বাড়ি। কয়েক মাস পর সাবিহার কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে সন্তান। মেয়েসহ পরিবারের ভরন পোষণ চালাতে হতদরিদ্র মা বাবার হিমসিম অবস্থা। এরমধ্যে সাবিহার বাবা মারা গেলে অন্ধকার নেমে আসে গোটা পরিবারে। সাবিহার বৃদ্ধ মা অন্যের বাড়ি কাজ করে নাতির লেখাপড়ার খরচ চালালেও অর্থাভাবে মেয়ের চিকিৎসা সম্ভব হয়নি। অগত্যা অসুস্থ মেয়েকে বেঁধে রাখেন শিকল দিয়ে। সাবিহার সপ্তম শ্রেণি পড়–য়া ছেলে জন্ম থেকে দেখে আসছে মায়ের এ অবস্থা। অসুস্থ মাকে সুস্থ দেখবে সে- এটাই তার একমাত্র স্বপ্ন। সিভিল সার্জন জানান, উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে সুস্থ্য জীবনে ফিরতে পারে সাবিহা। এরজন্য প্রয়োজন টাকার; তাহলে, টাকার অভাবে সাবিহাকে কি মানসিক রোগী হয়েই থাকতে হবে সারাজীবন-  প্রশ্ন স্বজনদের।