বাংলাদেশ জিজ্ঞাসা
কোটি টাকা উঠলো শামীম আহমেদের হাতে
প্রকাশিত : ১০:৩৭ এএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো মহান বিজয় দিবসের রাতে। কোটি টাকা উঠলো শামীম আহমেদের হাতে। বাংলাদেশ জিজ্ঞাসার সঞ্চালক খালিদ মুহিউদ্দীনের শেষ প্রশ্ন-পর্ব বাজান রাউন্ডের সমাপনীর সঙ্গে সঙ্গে নরসিংদীর ছেলে শামীমের স্কোর দাঁড়ায় ১০৫। পিরোজপুরের মহসিনের স্কোর ছিল ১০০, ঝিনাইদহের বেনজিরের স্কোর ৯০ এবং বরিশালের প্রীতীশের স্কোর ছিল ৬০।
বিজয় নিশ্চিত হলে মঞ্চে ছুটে আসেন শামীমের মা এবং বাবা। পুত্রকে জড়িয়ে ধরে আবেগ কেঁদে ফেলেন শামীমের মা। অন্যদিকে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে ঝিনাইদহের বেনজির আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন। মহসিন এবং প্রীতীশ স্বাভাবিকই ছিলেন।
ইনডিপেন্টে টেলিভিশনে ১৬ ডিসেম্বর রাত ১০টায় প্রচারিত হয় বাংলাদেশ জিজ্ঞাসার চূড়ান্ত পর্ব।
বিজয়ীর হাতে কোটি টাকার চেক তুলে দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম সারওয়ার এবং ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিইও এবং এডিটর-ইন-চিফ এম শামসুর রহমান।
কোটি টাকার পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় পরিকল্পনা মন্ত্রী মোস্তফা কামাল বিজয়ী শামীম আহমেদের মাথার সঙ্গে নিজের মাথা ঠোকেন। এ সময় করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে এফডিসি’র শুটিং ফ্লোর।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশ সম্পর্কে, দেশের অর্জন সম্পর্কে জানানোর এ আয়োজনকে আমি অভিনন্দন জানাই। এটি একবার হয়েই যেন হারিয়ে না যায়, সামনেও অব্যাহত থাকে- সে দিকে আয়োজকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। এ ধরণের আয়োজন বারবার হোক সে প্রত্যাশা করছি।’
আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম সারওয়ার বলেন, ‘এ ধরণের মহতি উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। দেশ সম্পর্কে জানা, দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে জানানোর জন্য জ্ঞানভিত্তিক এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে ধন্যবাদ।
স্বপ্নবাজ শামীম আহমেদ কোটি টাকা জয়ের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, স্বপ্ন পূরণে কোটি টাকা তাকে সহযোগিতা করবে। এতে প্রথম রানার আপ হয়েছেন পিরোজপুরের ছেলে মহসিন উদ্দিন। পুরস্কার হিসাবে তিনি অর্জন করেছেন ২৫ লাখ টাকা। পথ শিশু ও নারী শিক্ষার গুণগত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছেন মহসিন। দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন ঝিনাইদহের ছেলে বেনজির আহমদ। তিনি নিজের জীবনের অর্জন-উপার্জন দিয়ে পাঠাগার সম্প্রসারণের কাজ চালিয়ে যেতে চান। তৃতীয় রানার আপ প্রীতীশন্দ্র বিশ্বাস পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।
দেশের ৮০ হাজার প্রতিযোগী থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ৬৪ জনকে নির্বাচিত করার পর তাদের নিয়ে গত ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয় ‘বাংলাদেশ জিজ্ঞাসা’র টেলিভিশন সম্প্রচার পর্ব।
৬৪ জন থেকে ৮ জনকে নিয়ে ৭ ও ৮ ডিসেম্বর সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। এখান থেকে ফাইনালের জন্য নির্বাচিত হন চারজন। কোটি টাকা জয়ের জন্য লড়েন সেই চার মেধাবী-প্রীতীশ, শামীম, বেনজির ও মহসিন।
৪৭ বছরের বাংলাদেশের অর্জন, সাফল্য, ব্যর্থতা নিয়ে জ্ঞানভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা ‘বাংলাদেশ জিজ্ঞাসা’র পৃষ্ঠপোষকতা করছে আইএফআইসি ব্যাংক।