আগামীতে সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ হবে: বেনজীর আহমেদ
প্রকাশিত : ০২:২৩ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:১৩ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা করাই আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ হবে বলে মন্তব্য করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। আজ শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) প্রধান অতিথির বক্তব্যে র্যাব মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।
র্যাবের এই মহাপরিচালনক বলেন, তথ্য প্রযুক্তির প্রসার যে হারে বাড়ছে সাইবার ক্রাইম সেই হারে বেড়েছে। ক্রাইম জগতে এটি নতুন ট্রেন্ড হিসেবে যোগ হয়েছে। এই নতুন ট্রেন্ড নিয়ে কাজ করতে হবে। আগামী দিনের নতুন ও বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা করা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি গণমাধ্যম, বিশেষ করে অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকরা এগিয়ে এলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম জগতে ক্রাইম সংক্রান্ত রিপোর্টগুলো দখলদারিত্ব করে, বেশি আলোচনায় থাকে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্রাইম রিপোর্টারদের ভূমিকা অসাধারণ। ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিডিয়ার জগতে প্রাণ ভোমরা।
তিনি বলেন, গত ছয় মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যে পরিমাণ মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে, তা নজিরবিহীন। সাইবার ক্রাইম মারাত্মক আকারে বেড়ে গেছে। সবাইকে এ নিয়ে কাজ করতে হবে। এর সঙ্গে আর্থিক অপরাধের দিকেও নজর দিতে হবে। প্রতারণার সংখ্যাও বেড়েছে। যদিও বিদ্যমান আইনে আর্থিক অপরাধ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হাত দিতে পারে না।
এ জন্য আদালতে যেতে হয় বিচার প্রার্থীদের। আদালতে বিচার ব্যাবস্থা অনেক ধীর গতির। বিচার পেতে পেতে অন্য জেনারেশন চলে আসে। বিচার পাওয়ার জন্য স্ট্যান্ডার্ড সময় হচ্ছে সাত থেকে ৯ মাস। তাই বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তবেই দেশের মানুষ আইনের শাসন ও ন্যায় বিচারের সুফল পাবে।
টিআর/