ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

উন্নয়নের বাংলাদেশ

নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশুর বিকাশ

প্রকাশিত : ০৫:২৬ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

  • নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল বিশ্বে রোল মডেল। এর স্বীকৃতি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইউএন উইমেন ‘প্লানেট ৫০:৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড-২০১৬’ প্রদান করা হয়। নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী শিক্ষার প্রতি অঙ্গীকারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে ইউনেস্কোর ‘পিস ট্রি’ পুরস্কার পান। এবং এ বছর এপ্রিল মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল ইউমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে-২০১৮ এ ভূষিত হন।
  • ২০১৫ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রির্পোট অনুযায়ী নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে ৬ষ্ঠ স্থানে।
  • দুঃস্থ, নির্যাতিত, অসহায়, দরিদ্র ও তালাকপ্রাপ্ত ৭১ লক্ষ ভিজিডি নারী উপকারভোগীদের ২৪ মাসের সাইকেলের জন্য মাসে ৩০ কেজি পুষ্টি চাল প্রদান করা হয়েছে।
  • গর্ভবতী দরিদ্র ২৭.৭৬ লক্ষ মহিলার মা ও শিশুর পুষ্টি ঘাটতি নিবারণে প্রতি ২৪ মাসের সাইকেলে মাসে ৫০০ টাকা হারে মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান করা হয়েছে।
  • ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর থেকে গর্ভবতী দরিদ্র ৭ লক্ষ মহিলার ভাতার পরিমাণ ৫০০ টাকার স্থলে ৮০০ টাকা করা হয়েছে।
  • দুগ্ধবতী উপকারভোগী ১১.০৯ লক্ষ মাকে প্রতি ২৪ মাসের সাইকেলে মাসিক ৫০০ টাকা হারে ল্যাকটেটিং মা ভাতা প্রদান করা হয়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থ-বছর থেকে ভাতার পরিমাণ ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা করা হয়েছে।
  • নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবানগঞ্জ জেলার ২২টি উপজেলায় ৫০,০০০ অতি দরিদ্র মহিলাকে ১৫,৫০০ টাকা এবং ৩০,০০০ বর্গা/প্রান্তিক চাষীকে ১০,৬০০ টাকা করে জীবিকায়নের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
  • Investment Component for Vulnerable Group Development (ICVGD) প্রকল্পের আওতায় ৭ জেলার ৮টি উপজেলায় ৮ হাজার উপকারভোগী মহিলার স্বাবলম্বীকরণে ব্যবসা পরিচালনার জন্য মাথাপিছু এককালীন ১৫,০০০ হাজার টাকা অনুদান এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
  • ৮টি কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের মাধ্যমে ১৯,৯২৯ জন কর্মজীবী নারীকে আবাসিক হোস্টেল সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
  • কর্মজীবি নারীদের আর্থিক ক্ষমতায়নের জন্য ৭৪টি ডে-কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে ৩৬,১৮৩ জন শিশুর দিবা যত্ন সেবা প্রদান করা হয়েছে।
  • দুঃস্থ ও প্রশিক্ষিত নারীদের আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডে সহায়তার উদ্দেশ্যে ১৭,০৫০টি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।  
  • ৬০টি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার হতে ৩৩,৫০৩ জন নির্যাতিত নারী ও শিশুকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হয়েছে।
  • ৪০টি সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল হতে ৪০,৮৪৩ জন নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
  • নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন ১০৯ এর মাধ্যমে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহ বন্ধে ৯,৮৪,১২৫টি ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে।
  • নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের মাধ্যমে নির্যাতিতা, দুঃস্থ ও অসহায় ১,৪৩০ জন মহিলাকে আইনগত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে
  • ৬৪টি জেলার ৪৯১টি উপজেলায় ০.৬৩ লক্ষ দুঃস্থ ও অসহায় মহিলার মধ্যে ৫০০০ হতে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
  • দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে দরিদ্র, বেকার ও অসহায় মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২.৫১ লক্ষ মহিলার মাঝে ৩৪৯০.৬২ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
  • আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
  • গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের ২৫ লক্ষ মহিলাদের তথ্য প্রযুক্তি সেবা প্রদান করা হয়েছে।
  • জয়িতা ফাউন্ডেশনের আওতায় নারীর আর্থিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ঢাকায় ধানমন্ডি এলাকায় অবস্থিত শপিং মল রাপা প্লাজায় ‘জয়িতা’ নামে বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে সারাদেশে প্রায় ১৪টি মহিলা সমিতির উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বাজারজাত করে প্রায় ১৮,০০০ জন নারী সাবলম্বী হয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখছে।
  • মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাসে উন্নীত করা হয়েছে।  

    এসি