ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ধানের শীষ মানেই দুর্নীতি, নৌকা মানে মানুষের কল্যাণ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৫:২৮ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৫৩ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,‘ধানের শীষ মানেই দুর্নীতি, মানি লণ্ডারিং, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ। আর নৌকা মার্কা মানে মানুষের কল্যাণ হওয়া, উন্নয়ন। তাই আপনারা আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিন। আমরা আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবো।

আজ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর ইয়ুথ ক্লাব মাঠে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন নয় বরং দেশের মানুষের উন্নয়ন করাই মূল লক্ষ্য। তাই আবারও সরকার গঠনের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দিন।

তিনি বলেন, মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই মানুষের জীবনের আয় রোজগার বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। দেশের অর্থনীতি আরও উন্নত হবে। বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমাদের লক্ষ্য। নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে আসি নাই। আমরা সরকার পরিচালনা করি মানুষের জন্য। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে রোল মডেল। বাংলাদেশের মানুষ সুস্থ্যভাবে বাঁচবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন,‘প্রতিটা এলাকায় বিশেষায়িত হাসপাতাল করে দিয়েছি। ঢাকায় বস্তির মধ্যে অনেক মানুষ অস্বাস্থ্যকরা পরিবেশে বসবাস করে। আমরা এমন ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে আর তারা এভাবে থাকবে না। ফ্লাটে থাকবে তারা। স্বল্প আয়, নিম্ন আয়ের মানুষরা যাতে সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে সেব্যবস্থা করে দেবো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,‘ঢাকার নাগরিক সুবিধা বাড়াতে মেট্রোরেল হচ্ছে। অ্যালিভেটেট এক্সপ্রেস হবে। পাতাল ট্রেন করে দেবো,এসব নিয়ে কাজ চলছে। বিশেষ করে গুলশান-বনানী থেকে শুরু করে সমগ্র ঢাকার উত্তরণ বিশেষ করে যেসব ইউনিয়ন ছিল সেগুলোকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিয়েছি। মানুষ যাতে নাগরিক সুবিধা পায় সেজন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি ।

জঙ্গিবাদ দমনের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, ‘এই গুলশানে যখন হলি আর্টিজানে হামলা হলো, সবাই ধারণা করেছিল এর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কিন্তু মাত্র ৮-৯ ঘণ্টায় আমরা ব্যবস্থা নিয়েছে। এরপর থেকে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি।’

এসময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশকে ক্ষরা, দুর্ভিক্ষ, দুর্যোগ, অভাবের দেশ বলা হতো, যারা বিদেশ যেতেন তাদের সেই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো। তবে সেই বদনাম আর নাই। আজকে আর কারও কাছে হাত পেতে আমাদের চলতে হয় না। বাংলাদেশ আজ ভিক্ষুকের দেশ না। নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে।

টিআর/