কাশ্মীরে সেনা অভিযানে ৬ জঙ্গি নিহত
প্রকাশিত : ০২:৪২ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার
দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপুরা শহরের ত্রাল এলাকায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৬ জঙ্গি নিহত হয়েছে। শনিবার এই অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আলকায়দা-র শাখা সংগঠন আনসার গাজওয়াত-উল হিন্দ-এর সদস্য ছিল তারা।
ওই সংগঠনকে নেতৃত্ব দেয় হিজবুল মুজাহিদিনের প্রাক্তন কম্যান্ডার জাকির মুসা। মৃতদের মধ্যে একজনতার ডেপুটি ছিল বলে জানিয়েছেন অবন্তীপোরার পুলিশ সুপার মুহম্মদ জাহিদ।
শনিবার সকালে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরা শহরের ত্রাল এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপনসূত্রে খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেই মতো সাতসকালে তল্লাশি অভিযানে নামে ভারতীয় সেনার ৪২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, স্পেশ্যাল অপারেশনস গ্রুপ এবং সিআরপিএফ-এর যৌথ বাহিনী।
ত্রাল-অবন্তীপোরা রোড সংলগ্ন একটি ফলের বাগানের মধ্যে জঙ্গিরা আস্তানা গেড়েছে বলে খবর ছিল তাদের কাছে। প্রথমে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় যৌথ বাহিনী। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা জবাব দেয় জঙ্গিরা। তার পরে দু’পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণ শুরু হয়।
কয়েক ঘণ্টা ধরে গুলি বিনিময়ের পর ৬ জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। যৌথ বাহিনী তাদের নামও প্রকাশ করেছে— সলিহা মহম্মদ আখুন ওরফে গোলাম মহম্মদ আখুন, রসিক মীর, রউফ মীর, উমর রমজান, নাদিম এবং জাভিদ খান্দি।
তাদের মধ্যে সলিহা ওরফে গোলাম মহম্মদ জাকির মুসার ডান হাত ছিল বলে জানা গিয়েছে। গাজওয়াত-উল হিন্দ-এ জাকিরের পরেই তার জায়গা ছিল। তাদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর।
গত সপ্তাহেই সেনা অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উপত্যকার পুলওয়ামা জেলার সিরনু এলাকা। সেই ঘটনায় তিন জঙ্গি, এক জন সেনা কর্মী এবং ৭ জন স্থানীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল।
এইক’দিনে উপত্যকার পরিস্থিতি বদলেছে। রাজ্যপালের শাসন উঠে গিয়ে জারি হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। তবে, এই ঘটনায় ফের উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।
কারণ,সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদদেখাতে থাকে বেশ কিছু যুবক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গোটা পুলওয়ামা জেলার মোবাইল পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে শ্রীনগর-বানিহাল ট্রেন চলাচলও।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার
এমএইচ/