ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

উন্নয়নের বাংলাদেশ

শিল্প ও বাণিজ্যের সোনালী সময়

প্রকাশিত : ০৬:৫২ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৭:১৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ রবিবার

শিল্প মন্ত্রণালয়: দেশে কৃষকদের নিকট স্বল্প মূল্যে ও দ্রুততম সময়ে সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে বার্ষিক ৫ লক্ষ ৮০ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন গ্রানুলার ইউরিয়া সার উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন শাহজালাল ফার্টিলাইজার স্থাপন। সার সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন এবং সহজলভ্য করতে বিভিন্ন জেলায় নতুন ১৩টি বাফার গুদাম নির্মাণ কাজ চলছে। বাংলাদেশ হতে গলগণ্ড রোগ এবং আয়োডিনের ঘাটতিজনিত রোগ নির্মূল করার জন্য সারা দেশের ২৬৭টি লবণ ক্র্যাশিং মিলে আয়োডিন সংমিশ্রণ প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।

রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শতরঞ্জি শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে ১৫০ জনকে ৪৫ লক্ষ টাকা ঋণ বিতরণ।
পাবনা জেলার হেমায়েতপুর এলাকায় ৫০ একর জমিতে পাবনা শিল্পনগরী স্থাপিত। কর্মসংস্থান হবে ৪ হাজার লোকের।
রাজধানীর হাজারীবাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ট্যানারি শিল্পসমূকে একটি পরিবেশবান্ধব স্থানে স্থানান্তরের লক্ষ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও সাভারে চামড়া শিল্পনগরী স্থাপন।

ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বাউসিয়ায় ২০০ একর জমিতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দেশের প্রথম বিশেষায়িত শিল্প পার্ক ‘অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্পপার্ক’ স্থাপিত হচ্ছে।

কুমারখালি, কুষ্টিয়াতে বিশেষ শিল্প এলাকা স্থাপন, গোপালগঞ্জ, মিরসরাই ও বরগুনায় নতুন শিল্প নগরী স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। বিসিক শিল্প নগরী, ঝালকাঠি এবং রাজশাহী শিল্প নগরী সম্প্রসারণ এবং ধামরাই বিসিক শিল্প নগরী স¤প্রসারণ এর কাজ চলেছে ।
এসএমই এর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও বেকারত্ব হ্রাসের লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ২০০ কোটি টাকার এবং এসএমই পণ্যের টেকসই বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে ৩০০ কোটি টাকার অর্থায়ন চুক্তি স্বাক্ষর।

অবৈধ ও নিম্নমানের পণ্যের উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণ বন্ধে বিএসটিআই কর্তৃক ভ্রাম্যমান আদালত ও সার্ভিল্যান্স টিম পরিচালনার মাধ্যমে সর্বমোট ৫৪৯.৬৭ লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা।

বিগত ১০ বছরে বিসিকের আওতায় সরকারিভাবে ২৪.৫০ মেট্রিকটন ও বেসরকারিভাবে ৪৯৫৯.৫০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদিত হয়েছে।
স্থানীয়, যৌথ উদ্যোগে ও ১০০% বিদেশী বিনিয়োগে মোট ১৫,৮৮৬টি শিল্প প্রকল্প নিবন্ধন প্রদান করা হয়েছে। প্রকল্পসমূহের মাধ্যমে সর্বমোট ৩০,২৮,০৭৩ জনের কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষঃ

২০০৯-২০১৭ সময়ে বেপজায় ৪৫,২৪১.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়, পূর্ববর্তী ৯ বছরে ২০০১-২০০৮ সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ১৩,০৮৭.৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৯ বছরে বেপজায় ১৭৯টি নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু।

বেপজা ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ১১৫০ একর জমির উপর আনুষ্ঠানিকভাবে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের যাত্রা শুরু। বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ইপিজেডে হাসপাতাল এবং বাকি ৬টি ইপিজেডে ‘ইপিজেড মেডিকেল সেন্টার’ স্থাপন।
ইপিজেডসমূহে ১৭৫টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে এখানে শিশুদের যত্নের পাশাপাশি খেলাধুলা, সুষম খাদ্য ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।

দেশের ৫টি ইপিজেডে ‘বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইপিজেডে মহিলা শ্রমিকদের নিরাপত্তায় মহিলা আনসারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জোনে ফায়ার স্টেশন, পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম ইপিজেডে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলি ইপিজেডের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহসহ উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

বাণিজ্যঃ ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে দেশের রপ্তানি ছিল ১৪.১১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১৯৯টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৩৬.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০০৬ সালে ১৯টি দেশে বাণিজ্যিক উইং ছিল, বর্তমানে ২১টি দেশে বাণিজ্যিক উইং কাজ করছে।
দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরী পোশাক। ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে দেশে তৈরী পোশাক রপ্তানি ছিল ১০.৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৭-২০১৮ সালে সে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৩০.৬১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০০৬ সালে চা-এর উৎপাদন ছিল ৫৩.৪১ মিলিয়ন কেজি। ২০১৬ সালে চা-এর উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ৮৫.০৫ মি. কেজি।

বস্ত্র ও পাট: বিগত জোট সরকারের আমল থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বিজেএমসি’র ৫টি জুট মিল চালু করা হয়েছে।
সুতা ও রং আমদানির ক্ষেত্রে তাঁতীরা শুল্কমুক্ত হার সুবিধা ভোগ করছেন এবং বিটিএমসি হতে সুতা সরবরাহ পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। গাইবান্ধা, নওগাঁ, চাঁপাইবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, টাংগাইল, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, মানিকগঞ্জ, কক্সবাজার-এ ১টি করে নতুনভাবে ১০টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে।
২০০৯ খেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত শতভাগ দেশীয় চাহিদা পূরণপূর্বক পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে ৮৫৯০.১৪ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে।

পাট থেকে পলিথিনের বিকল্প ‘সোনালি ব্যাগ’, ভিসকস, কম্পোজিট জুট টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস, চারকোল, পাট পাতার পানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে পাট শিল্পে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়েছে।
৩ লক্ষ পাটবীজ উৎপাদনকারী এবং ১২ লক্ষ পাট উৎপাদনকারী পাট চাষীকে বিনামূল্যে পাটবীজ, সার, কীটনাশক ও কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়েছে।

পদ্মা সেতুর পাশে মাদারিপুর জেলার শিবচরে ১০০ একর জমির উপর তাঁতপল্লী স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নয়ো হয়ছে।
বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহী কর্তৃক ৩৯০.৫ লক্ষ তুঁতচারা উৎপাদন করে রেশম চাষীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

আরকে//