‘খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র ওপর সমন্বিত গবেষণা হওয়া প্রয়োজন’
প্রকাশিত : ০২:৩৬ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ রবিবার
হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর ১৪৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে বক্তারা খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র ওপর সমন্বিত গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) তার জন্মভিটা সাতক্ষীরার নলতা শরীফে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন এ সেমিনারের আয়োজন করে।
খানবাহাদুর আহছানউল্লা ছিলেন অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের সহকারি পরিচালক, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষাবিজ্ঞানী, কবি ও সাহিত্যিক, দার্শনিক ও ছুফি সাধক। তিনি আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলা একাডেমির প্রথম ফেলো। ১৮৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসের শনিবারে তিনি সাতক্ষীরার নলতায় জন্মগ্রহণ করেন।
নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সভাপতির মুহাম্মদ সেলিমউল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ছিলেন ভারতবর্ষে মুসলিম জাগরণের অগ্রদূত। শিক্ষায়-দীক্ষায়, সাহিত্যে-সাধনায় তিনি যদি উদ্যোগ না নিতেন তবে বাংলার মুসলমানরা আজকের অবস্থায় প্যেঁছাতে পারতো না। তিনি একাধারে ছিলেন পূর্ণ ধার্মিক আবার পূর্ণ আধুনিক। আধুনিকতা আর ধার্মিকতার সমন্বয় ঘটিয়ে তিন যে দর্শনের কথা বলে গেছেন তা কল্যাণের দর্শন। তার জীবন, কর্ম ও সাহিত্যের ওপর খণ্ডিত গবেষণা রয়েছে, আহ্ছানিয়া মিশন ও খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনিস্টিটিউটের উচিৎ সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করা।
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার জন্মবার্ষিকীর সেমিনারে আরও উস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল, যুগ্ম সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বাবু রবীন্দ্রনাথ দাস।
একে//