ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ইবিতে ভর্তির বাণিজ্যে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা

প্রকাশিত : ১০:২৭ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার

 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষামান তালিকা থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরব জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা। ১৬ হাজার টাকায় অপেক্ষামান তালিকা থেকে মিলবে চান্স এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। কেউ আবার সরাসরি সুপারিশ করার মাধ্যমে ভালো বিষয়ে এ ভর্তি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাসে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।

১৬ হাজার টাকায় ভর্তি করিয়ে দেওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে নিয়মিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট এবং কমেন্ট করছে ‘অনন্ত দূর্জয়’ নামক একটি ফেইক একাউন্ট থেকে। সে লিখছে ‘ আই ইউ তে যারা এক্সাম দিছো, এক্সাম খুব খারাপ হইছে। মেরিট লিস্টে নাম আসে নাই যাদের তারা  কন্টাক্ট করো শতভাগ কাজ হবে। মোট ১৬ হাজার টাকা এ্যাডভান্স ৭ হাজার ৫’শত কাজ হবে। টাকা মাইর যাবেনা ইনশাআল্লাহ। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, তোমরা ভুল বোঝ না। ভালোর জন্য বলছি। ইটস্ টুরু যে সবাই ফেক না, আমি ইটা সিওর দিয়ে বলতে পারি আমি রিয়েল।কন্টাক্ট নাম্বার ০১৭৯৮১৯৮০৯৭’। এই প্রতারকের ফাঁদে পরে অনেক ভর্তিচ্ছু প্রতারিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তাওহিদ রেহমান নয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। সে ফেসবুকে ‘এ্যানি হেল্প ০১৯১৬৪৯২৬৯৩’ লিখে বিভিন্ন পোস্টে কমেন্ট করছে। কোন ভর্তিচ্ছু যোগাযোগ করলে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মোট অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাওহিদ রেহমান নয়ন ম্যাসেনজারে ০১৭২৩৬১৭১৪৪ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলছে ভর্তিচ্ছুদের। এছাড়াও তাওহিদ রেহমান নয়নকে ভাইরা বোর্ডেব আশে-পাশে ভর্তিচ্ছু নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

সামনা-সামনি সুপারিশ করার মাধ্যামে ভালো সাবজেক্টটে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ভর্তিচ্ছুদের সাথে যোগাযোগ করছে সাইফুল ইসলাম নিরব নামক এক ফেসবুক আইডি থেকে। সেই আইডি সূত্রে জানা গেছে সে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক।

একাধিক ভতিচ্ছু জানায়, এ সব নম্বারে যোগাযোগ করলে তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বড় লিংক আছে দাবি করে। ভর্তি করিয়ে দেওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়। এ্যাডভান্স টাকা পাঠায় দিলে ভর্তি করিয়ে দিবে। কখোনো আরার সরাসরি ভাইবা বোর্ডে গিয়ে সুপারিশ করার আশ্বাস দিচ্ছে তারা।

এ বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ আশকারী একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন,এ তথ্যগুলো সত্যি হয়ে থাকলে,অতি শিঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য,এসব জালিয়াতি চক্রের সদস্যদের সাথে ভর্তিচ্ছুদের কথোপকথনের একাধিক কল রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে আছে।

কেআই/