ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৭ ১৪৩১

উন্নয়নের বাংলাদেশ

পাহাড়ে উন্নয়নের ছোঁয়া

প্রকাশিত : ০৪:৫৫ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:১০ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

    • পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সমন্বিত সমাজ উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফ এর আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ে ৩২০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে।
    • ৪০০০ পাড়াকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত পার্বত্য এলাকার ১,৬৫,৩৪৩ পরিবারকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পানি, পয়ঃব্যবস্থা ইত্যাদি মৌলিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
    • শিক্ষা : প্রকল্পভুক্ত ৩-৫ বছর বয়সী ১,৭৩,১৬৫ জন শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রস্তুতকরণের লক্ষ্যে পাড়াকেন্দ্রে শিশু বিকাশ ও প্রাক-শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
  • বর্তমানে ৪০০০ পাড়া কেন্দ্রে ৫৪,০০০ শিশু প্রি-স্কুলে অধ্যয়নরত। পাড়াকেন্দ্র থেকে ২ লক্ষের বেশি শিশু প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।
  • এছাড়া পার্বত্য চট্রগ্রাম এলাকায় ক্ষুদ্র ও পশ্চাদপদ নৃগোষ্ঠির মধ্যে প্রতি বছর ১০০০ জন শিক্ষার্থীর খাদ্য, আবাসন, পোশাক, পরিচ্ছদ, শিক্ষা উপকরণ বিনামূল্যে প্রাপ্তিসহ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা লাভ করছে।
  • ৯৪,৭২৪ জন শিশুদের জন্য ভিটামিন-মিনারেল পাউডার, কিশোরী ও গর্ভবর্তীদের আয়রন ট্যাবলেট, ১,২২,৪৩৫ জন প্রসুতি মায়েদের জন্য ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, ৮১,৭১০ জন কিশোরীদের জন্য কৃমিনাশক বড়ি বিতরণ, ৫৩৪ জনকে উঘও প্রশিক্ষণ ও ২০৪৫ জনকে গঘঐও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
  • ১২০টি নলকূপ স্থাপন ও সংস্কার, ৫,৪২৩টি স্বল্পব্যয়ী স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা সরবরাহ, ১,৩৫০ জন কেয়ার টেকার প্রশিক্ষণ ও টুলবক্স বিতরণ এবং ১,২০৫টি হ্যান্ড ওয়াসিং ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে।
  • ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ২০০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বান্দরবান জেলায় ২৩৬টি, রাঙামাটি জেলায় ১২০টি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ১২০টি ৬৫ওয়াট পিক ক্ষমতার সোলার হোম সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপন করা হয়। ৪৪০ জন উপকারভোগীকে সোলার সিস্টেমের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহারবিধি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। 
  • ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ২৪৪৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বান্দরবান জেলায় ২১২৪টি, রাঙামাটি জেলায় ১৭৫৩টি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ১৫৩৭টি ৬৫ ওয়াট পিক ক্ষমতার সোলার হোম সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপন করা হয়।
  • প্রকেল্পের আরডিপিপি‘তে আরও ৫০০০টি সোলার হোম সিস্টেম ৫৮৯০টি মোবাইল চার্জার এবং ১২ ওয়াট পিকের পরিবর্তে ৩২ ওয়াট পিকের ২৩১৫টি সোলার কমিউনিটি সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
  • ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স উদ্বোধন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প– ২য় শীর্ষক পর্যায় প্রকল্প  

  • জুলাই ২০১১ হতে জুন ২০১৯ মেয়াদে ৫১৫.১৮৪৭ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-২য় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
  • খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ৪১টি বিদ্যালয় সংস্কার, ৪০টি নতুন বিদ্যালয় স্থাপন, ৬১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সমপন্ন ও ১০৫টি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
  • ৬,২৮০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান, কৃষক-মাঠ-স্কুল নির্বাচন, কৃষক-মাঠ-স্কুলের প্রদর্শনী প্লটের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
  • খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ৪টি উপজেলায় সরকারি স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় ২৭০ জন প্রশিক্ষিত মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী ও মোবাইল মেডিকেল টিমের মাধ্যমে ৯৪,০০০ জনকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে।  
  • ৮টি উপজেলায় দুর্গম এলাকায় যেখানে বিদ্যুৎ নাই সেখানে প্রাণী সম্পদের ভ্যাকসিন রাখার জন্য ১১টি সোলার ফ্রিজ স্থাপন করা হয়েছে।
  • রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ৩০টি এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ২৮টি সরকারি অফিস/ সংস্থা জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
  • ২০২১ সালের মধ্যে পার্বত্য এলাকার প্রতিটি বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থাকরণ।
  • পার্বত্য এলাকায় পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য কাপ্তাই লেক ও বড় নদীগুলো খননকরণ।
  • পার্বত্য এলাকায় উৎপাদিত পচনশীল খাবার সংরক্ষণের জন্য তিন পার্বত্য জেলায় কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ।
  • জেলার সাথে প্রতিটি ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ। দেশি বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করার জন্য পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণ।   

 এসি