ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

উন্নয়ন

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৬:০৬ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৩৬ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

    • খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান এখন দশম। এক ও দুই ফসলি জমি অঞ্চল বিশেষে প্রায় চার ফসলি জমিতে পরিণত করা হয়েছে এবং দেশে বর্তমানে ফসলের নিবিড়তা ১৯৪%।   
    • দক্ষিণ অঞ্চলে ভাসমান বেডে চাষাবাদ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে।
    • সরকার সার, ডিজেল, বিদ্যুৎ ইত্যাদি খাতে আর্থিক সহযোগিতার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। ২০১৮ সালে সার খাতে ৫৮ হাজার ৯ শত ৪৫ কোটি টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।    
  • ২০০৮-০৯ অর্থবছর হতে কৃষি প্রণোদনা/পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে ৮২৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৭৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৩ জন কৃষক উপকৃত হয়েছে।   
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
  • ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ জন কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান করেছে।
  • ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ করে দেওয়ায় ১ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৮টি ব্যাংক হিসাব খোলা সম্ভব হয়েছে, যেখানে বর্তমান স্থিতি প্রায় ২ শত ৮২ কোটি টাকা।  
  • ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ। লবণাক্ততা, খরা, জলমগ্নতা সহনশীল ও জিংকসমৃদ্ধ, ধানসহ এ পর্যন্ত ধানের ১০৮টি উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।  
  • নিবিড় সবজি চাষের মাধ্যমে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
  • আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম। দেশে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১২.৮৮ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয়েছে।
  • কৃষি পণ্য রফতানি থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬ শত ৭৩ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে।
  • ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ধান, গম, পাট, ভূট্টা, আলু, সবজি, তৈল ও মসলাসহ বিভিন্ন ফসলের গুণগত মানসম্মত বীজ সরবরাহের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮ শত ৭৪ মে.টন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৯ শত ২২ মে.টনে।
  • ২৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি আলুবীজ হিমাগার নির্মাণ এবং ৪টি টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।
  • ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট ১৪ হাজার ৫ শত ২০ দশমিক ৪২ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ:  

  • বিগত ৯ বছরে মাছের উৎপাদন ২৭.০১ লাখ মেঃ টন থেকে বেড়ে ৪১.৩৪ লাখ মেঃ টন উন্নীত হয়েছে।  
  • মাংসের উৎপাদন ১০.৮০ লাখ মেঃ টন থেকে বেড়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭১.৬০ লাখ মেঃ টনে উন্নীত হয়েছে।
  • দুধের উৎপাদন ২২.৯ লাখ মেঃ টন থেকে বেড়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৯৪.০৬ লাখ মেঃ টনে উন্নীত।
  • ডিমের উৎপাদন ৪৬৯.৬১ কোটি থেকে বেড়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৫৫২ কোটিতে উন্নীত।
  • মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি’র ৩.৬১ শতাংশ এবং মোট কৃষিজ আয়ের প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসে মৎস্য খাত হতে।
  • মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে উন্নয়ন বরাদ্দ ১৬৪.০১ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭১২.০১ কোটি টাকায় উন্নীত।  
  • ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬৮,৩০৫.৬৮ মে.টন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি করে ৪২৮৭.৬৪ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ৩২৪৩.৪১ কোটি টাকা।  
  • ঐতিহাসিক সমুদ্রবিজয়ের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার জলসীমায় আইনগত একচ্ছত্র অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। 
  • ইলিশের উৎপাদন ২.৯৮ লক্ষ মে.টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৫.০০ লক্ষ মে. টনে উন্নীত।
  • ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সামজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় জাটকা সমৃদ্ধ ১৭ জেলার জাতীয় ৮৫টি উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত থাকতে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩জন জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসের জন্য মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় মোট ৩৮,১৮৭.৬৮ মে. টন চাল প্রদান করা হয়েছে।
  • বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে ৫৩৪টি মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন।
  • কুচিয়ামাছ অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ ও ঔষধি গুণসম্পন্ন। কুচিয়া রপ্তানি করে ১৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত।
  • ৬৩টি উপজেলায় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
  • প্রাণিসম্পদ লালনপালন, চিকিৎসা সেবাসহ যেকোন ধরনের সমস্যার জন্য যেকোন মোবাইল হতে ১৬৩৫৮ নম্বরে বিনামূল্যে এস.এম.এস এর মাধ্যমে পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে।

খাদ্য উৎপাদন:

  • দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ২০২১ সালের মধ্যে ৩০ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
  • বর্তমানে ৬.৪০ লক্ষ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার আধুনিক খাদ্য গুদাম/সাইলো নির্মাণের লক্ষ্যে কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
  • দেশের উত্তরাঞ্চলে ১.১০ লক্ষ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন খাদ্যগুদাম নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের উত্তরাঞ্চলে মোট ১৪০টি গুদামসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
  • সারাদেশে ১০০০ মেট্রিক টন ধারণক্ষম ৭০ টি গুদাম এবং ৫০০ মেট্রিক টন ধারণক্ষম ১৩০টি গুদাম নির্মাণ।
  • মংলা বন্দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন কনক্রিট গ্রেইন সাইলো, আনলোডার, সাইলো জেটি নির্মাণ, সাইলো ভবনসহ বিভিন্ন ধরনের কনভেয়িং সিস্টেম ও ওজন যন্ত্র স্থাপন।
  • বগুড়া জেলার সান্তাহার সাইলো ক্যাম্পাসে বহুতল গুদাম নির্মাণ করা হয়েছে। সোলার প্লান্টসহ ২৫,০০০ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার মাল্টিস্টোরিড ওয়্যারহাউজ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত।
  • ভিজিডি, ভিজিএফ, জিআর ইত্যাদি খাতে ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে ৮.৩৭ মেট্রিক টন পরিমাণ খাদ্যশস্য সরবরাহ।
  • ভিজিডি খাতে পুষ্টি চাল বিতরণ; হাওর এলাকায় ১০০ দিন কর্মসূচিতে ১০ টাকা মূল্যে চাল বিতরণ ও ওএমএস কার্যক্রম গ্রহণ।
  • ২০১৫ সালে শ্রীলংকায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল রপ্তানি।
  • ২০১৬ সালে নেপালে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল সাহায্য হিসেবে প্রেরণ।
  • ২০১৬ সাল হতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৫০ লক্ষ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে প্রতি মাসে পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে প্রতি বছর ৫ মাস (সেপ্টেম্বর, নভেম্বর ও মার্চ-এপ্রিল) চাল ১০ টাকা কেজিতে বিতরণের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলমান রয়েছে।