জ্যোতিষি লিটন দেওয়ানের বিরুদ্ধে মানুষ ঠকানোর অভিযোগ
প্রকাশিত : ০৩:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৭:০৬ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার
ধর্মীয় গোঁড়ামী আর অন্ধ বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে মানুষ ঠকানোর অভিযোগ রয়েছে জ্যোতিষি লিটন দেওয়ানের বিরুদ্ধে। গুরু, মহাগুরু, কামাক্ষা গুরু, জ্যোতিষ সম্রাট- এরকম নানা নামে নিজেকে চেনান লিটন। সব সমস্যার সমাধানও নাকি আছে তার কাছে। র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর নিজেই স্বীকার করেছিলেন তার সবকিছুই ভন্ডামী। কিন্তুু জেল থেকে মুক্ত হয়ে বিলাস বহুল জ্যোতিষ চেম্বারে বসেই মানুষের ভাগ্য গনণা করছেন তিনি।
জ্যোতিষ লিটন দেওয়ান। বিভিন্ন সময়ে তিনি পাগলা দেওয়ান, লিটন চিশতি, পাগলা বাবা ও আধ্যাত্মিক গুরু জ্যোতিষ সম্রাট লিটন দেওয়ান চিশতি নাম ধারণ করেছেন। অথচ প্রাথমিক স্কুলের গন্ডিও পার হতে পারেননি তিনি। বাবার নামে গ্রামে গড়ে তুলেছেন পীরের মাজার।
অভিজাত বিপনী বিতানে চেম্বার খুলে মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে লিটনের বিরুদ্ধে। ফুটপাথ থেকে হঠৎই রাজধানীর সেরা জ্যোতিষী হিসেবে নিজের পরিচয় দেন তিনি।
নামি দামী তারকাদের দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরী করে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বিখ্যাত লালসালু উপন্যাসের মজিদের মত মানুষ ঠকানোর অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে পাথর বিক্রি করে কামিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। শ্লীলতাহানি ও ধর্ষনের অভিযোগে ২০০৮ সালে তাকে আটক করে র্যাব। এরপর অকপটে স্বীকার করেন তার সব কৃর্তকর্ম।
কিছুদিন পর জামিনে মুক্ত হয়ে আবার শুরু করেন মানুষ ঠকানোর পুরানো ব্যবসা। ভাগ্য বদলে দেবে রঙ্গিন কিছু পাথর। অদ্ভুত এক বিশ্বাসে কিছু মানুষ এ পাথর কেনেন।
তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের জবাব দেন তিনি।
নিজেকে জ্যোতিষি দাবি করলেও বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোলজি সোসাইটির সদস্যই নন এই লিটন দেওয়ান।