কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে মেডিটেশন
প্রকাশিত : ০২:২৪ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
মেডিটেশন এক প্রকার মনের ব্যায়াম। আর মেডিটেশনের সবগুলো উপকারিতাকে এক করলে যা পাওয়া যায় তা হলো কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি। আসলে পেশাগত ক্ষেত্রে মেডিটেশনের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে।
ইউলিভ্যাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ডা. সোলবার্গ এবং তার সহযোগীরা এক গবেষণায় দেখেন, মেডিটেশন করার পর শুটিং সেশনে অংশ নিয়ে বাকিদের চেয়ে তারা ভালো করেছে। ১৮ থেকে ৪৮ বছর বয়সী ৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর দুটি যোগধ্যানের পদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখা যায়, যারা ধ্যান করেনি তাদের চেয়ে এ দুই গ্রুপেরই স্কোর ভালো হয়েছে।
পৃথিবীজুড়ে দুই শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত এ সব গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে একাডেমি অব ম্যানেজমেন্ট জার্নাল, সায়েন্স, সাইকোসোমাটিক মেডিসিন, হাইপার-টেনশন, আমেরিকান সাইকোলজিস্ট এবং আমেরিকান জার্নাল অব ম্যানেজড কেয়ার প্রভৃতি শীর্ষস্থানীয় জার্নালে। এ সব গবেষণায় দেখা গেছে, কোম্পানিতে মেডিটেশন চালু করার ফলে কর্মীদের টেনশন, অস্থিরতা অবসাদ ও নিদ্রাহীনতা কমেছে, ধূমপান ও নেশার আসক্তি কমেছে এবং দক্ষতা, কর্মসন্তুষ্টি ও পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন বেড়েছে লক্ষণীয় মাত্রায়। যে কর্মীরা সৃজনশীল, বুদ্ধিমান, সুস্থ এবং প্রাণবন্ত স্বাভাবিকভাবে তারাই বেশি কাজ করতে পারে। তখন উৎপাদনক্ষমতা বাড়ে, অনুপস্থিতির হার কমে এবং দলগতভাবে কাজ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেলথ এবং সেন্ট মারিয়ানা মেডিকেল ইনস্টিটিউট একযোগে একটি গবেষণা চালায়। এতে সুমিতমো হেভি ইনডাস্ট্রির ৪৪৭ জন শ্রমিককে মেডিটেশনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ৫ মাস পর তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হলো। দেখা গেল, আগের চেয়ে তাদের শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক অস্থিরতা, খিটখিটে মেজাজ এবং রাতে ঘুমের সমস্যা অনেক কম।
সুমিতমোর হেলথ ইন্স্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান টি ওয়াতানাবে বলেন, আমরা কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এই মেডিটেশন প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করেছি। কারণ আধুনিক প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে মেডিটেশন একটি অপরিহার্য উপাদান।