এপ্রিলে নতুন ভবনে যাচ্ছে বিজিএমইএ
প্রকাশিত : ০৩:০০ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৩:৪৬ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ রবিবার
রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর নতুন ভবনের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৩ তলা ভবনের ৬৫ শতাংশ ফ্লোর স্পেস বিক্রি শেষ হয়েছে। বাকি ৩৫ শতাংশ বিক্রির প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ফ্লোর স্পেস ক্রেতাদের ইজারা দেওয়া নিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সঙ্গে চলে আসা বিরোধ শেষ পর্যন্ত মিটেছে। ইজারা দলিলের সংশ্নিষ্ট ধারাটি বাতিল করেছে রাজউক। ফলে গত সপ্তাহে ফ্লোর বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষমতা পেয়েছে বিজিএমইএ।
কারওয়ান বাজারে বর্তমান ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর যাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে তাদের নতুন ভবনে স্থান দেওয়া হচ্ছে। নির্মাণে সহযোগিতা হিসেবে তাদের কাছে অগ্রিম কিস্তি নেওয়া হয়েছে। প্রতি বর্গফুটের দাম ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এই দরের সঙ্গে বর্তমান ভবনের বিক্রি করা মূল্য সমন্বয় করা হচ্ছে। তিনটি ব্যাংক ছাড়া ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর যাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে তারা সবাই বিজিএমইএর সদস্য।
দ্রুত কাজ এগিয়ে চললেও বর্তমান ভবন ছাড়ার আগে নতুন ভবন ব্যবহার উপযোগী হবে কি-না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। আগামী ১২ এপ্রিলের মধ্যে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ভবন ছাড়তে আদালতের নির্দেশ রয়েছে। সময়সীমার মাত্র ১০ দিন পর ২১ এপ্রিল বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মাসে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা। এ বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি এসএম মান্নান কচি সমকালকে বলেন, আদালতের প্রতি সম্মান রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বর্তমান ভবন ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। সে লক্ষ্যেই নতুন ভবনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। তবে জাতীয় নির্বাচন এবং বিজিএমইএর নির্বাচনের কারণে নতুন ভবন যদি একান্ত ব্যবহার উপযোগী না হয় সে ক্ষেত্রে আইনগত কী দিক রয়েছে সে বিষয় নিয়ে বিজিএমইএ বৈঠক করবে।
জানা গেছে, নতুন ভবনের তৃতীয় তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২০ সাল নাগাদ মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। উত্তরায় তৃতীয় প্রকল্পে ১৭নং সেক্টরে ১১০ কাঠা জমি বাজার মূল্যের অর্ধেক মূল্যে বিজিএমইএকে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
নতুন ভবনে আন্তর্জাতিকমানের সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে পোশাক খাতের গবেষণা ও উন্নয়ন, প্রদর্শনী কেন্দ্র, ক্রেতা এবং বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক উপযোগী হল, সুইমিং পুল ও অ্যাপারেল ক্লাব উল্লেখযোগ্য। নতুন ভবনটি কারওয়ান বাজারের বর্তমান ভবনের তুলনায় আকারে দ্বিগুণ বড়।
আরকে//