১১ দেশের নতুন টিপিপি চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই কার্যকর
প্রকাশিত : ০৫:৩৮ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ১১টি দেশ টিপিপি নামে পরিচিত চুক্তিটির সংশোধিত সংস্করণে স্বাক্ষর করেছে। মূল টিপিপি চুক্তি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে পণ্য বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য হারে শুল্ক কমে আসবে। নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী একে রফতানিকারকদের জন্য অনন্য সুযোগ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
রোববার থেকে সিপিটিপিপি কার্যকর প্রসঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী ডেভিড পার্কার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সিপিটিপিপির সৌজন্যে প্রথমবারের মতো তিন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতি জাপান, কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির সুযোগ পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
এশিয়ায় চীনের অর্থনৈতিক প্রভাবকে টেক্কা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার হাত ধরেই ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপের (টিপিপি) যাত্রা হয়। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন। পরবর্তীতে টিপিপি নিয়ে আলোচনাধীন বাকি দেশ অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, কানাডা, চিলি, জাপান, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই এগোতে থাকে। সংশোধিত টিপিপির নাম দেয়া হয় সিপিটিপিপি।
সিপিটিপিপির আওতায় এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যে ১৫ বছরের মধ্যে ধীরে ধীরে সব শুল্ক উঠে যাবে।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের রফতানিকারকরা সতর্ক করে বলছেন, বাজারে টিকে থাকতে হলে তাদের এখন সাহায্য প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রের হুইট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ভিন্স পিটারসন বলেছেন, ‘জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে আমরা নিজেদের ৫৩ শতাংশ শেয়ার ধরে রাখতে চাই। কিন্তু বর্তমানে আমরা একটি আসন্ন পতনের সামনে দাঁড়িয়ে। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নতুন চুক্তি থেকে সুবিধা পেতে যাচ্ছে, আর যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকরা তা অসহায়ভাবে দেখছেন।’
সিপিটিপিপিভুক্ত দেশগুলোর বৈশ্বিক জিডিপিতে অবদান ১৩ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র এখানে যোগ দিলে তা ৪০ শতাংশে উন্নীত হতো। এ চুক্তির আওতাধীন দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ অন্যদের জন্য এখানে যোগ দেয়ার দ্বার উন্মুক্ত রেখেছে বলে জানিয়েছে। চুক্তির শর্তাবলিতে সম্মত থাকলে ভবিষ্যতে এসব দেশ সদস্য হওয়ার সুযোগ পাবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এবং শিকাগো কাউন্সিল অন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের ফেলো ফিল লেভি বলেন, ‘তারা বলার চেষ্টা করছেন, আমরা সামনে এগোচ্ছি এবং আমাদের সঙ্গে মতের মিল হলে তোমরাও যোগ দিতে পারো।’
ফলে নতুন চুক্তিটির সুবাদে জাপান, কানাডা, মেক্সিকো ও অস্ট্রেলিয়ার মতো অর্থনীতির সুপারহাউজগুলোর বাণিজ্যনীতি নতুন রূপ পাবে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স।
এসএইচ/