উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্টের অনুষ্ঠানে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশিত : ০৭:৪৪ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার
ইংরেজি নতুন বছরের আগের রাত্রিতে অর্থাৎ থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। সোমবার বিকেলে ডিএমপি কমিশনার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্ট নাইটের কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না। তবে চার দেয়ালের মাঝে করতে আপত্তি নেই। সেক্ষেত্রে পুলিশকে আগে জানাতে হবে।
মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, পাঁচ তারকা হোটেলের ভেতরে অনুষ্ঠান করা যাবে। তবে বাইরে কোনও প্রোগ্রাম, ডিজে পার্টি, ছাদের ওপরে কোনও প্রোগ্রাম না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উযযাপন উপলক্ষে রাজধানীর গুলশান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশে পুলিশের পক্ষ থেকে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কেউ যাতে নাশকতা ও সহিংসতার সুযোগ নিতে না পারে, সেজন্য পুলিশ বাড়তি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
থার্টি ফার্স্টকে ঘিরে সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা হুমকি নেই জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গতকাল জাতীয় নির্বাচনের পরপরই এ ধরনের একটি উদযাপন থাকায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শাহবাগ ও নীলক্ষেত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন স্টিকারযুক্ত গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও স্ব স্ব আইডি কার্ড দেখিয়ে প্রবেশ করবে। এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থানরত বহিরাগতদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। ক্যাম্পাস এলাকায় পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
কমিশনার বলেন, গুলশানে ৫ তারকা হোটেলগুলোতে ইনডোরে অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে। তবে বাইরে কোনো প্রোগ্রাম যেমন ডিজে পার্টি, ছাদে বা উম্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না। হাতিরঝিলসহ ঢাকা মহানগরীর উম্মুক্ত স্থানে কোথাও কোনো আয়োজন থাকবে না। তবে চার দেয়ালের মাঝে যদি কেউ অনুষ্ঠান আয়োজন করে সেটির ব্যাপারে কোনো বাধা নেই। তবে সে ব্যাপারে পুলিশকে অবহিত করতে হবে, যেন তাদের নিরাপত্তা দিতে পারে।
কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যাতে কোনো সুযোগ নিতে না পারে, নাশকতা করতে না পারে, কোনো জঙ্গি বা উগ্রবাদী গোষ্ঠী যাতে কোনো ধরণের সুযোগ নিতে না পারে সেক্ষেত্রে আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা সতর্ক রয়েছি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের মধ্য দিয়ে আমরা থার্টি ফার্স্ট নাইট ইংরেজি নববর্ষ ২০১৯ এর অনুষ্ঠানটিকে সুন্দরভাবে পার করতে পারবো, বলেন নগরীর এই পুলিশ প্রধান।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, নিরাপত্তার অংশ হিসেবে গুলশান এলাকায় বসবাসকারীরা কাকলী ও আমতলা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। বেরও হতে পারবেন সব রাস্তা দিয়ে। ওই এলাকায় বহিরাগত যারা আছেন তাদেরকে রাত ৮টার মধ্যেই এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে। রাতে কেউ অবস্থান করতে পারবেন না। এই নিরাপত্তার কারণে, চেকপোস্টে তল্লাশির কারণে জনগণের হয়তো একটু কষ্ট হতে পারে। এজন্য সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন কমিশনার। এরপরেও পুলিশের এ নিরাপত্তা কাজকে সহযোগিতা করবেন। যাতে কোনো কিছু না ঘটে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরকে//