বর্ণিল উচ্ছ্বাসে মালয়েশিয়ায় ইংরেজি নববর্ষ বরণ
শেখ আরিফুজ্জামান, মালয়েশিয়া থেকে
প্রকাশিত : ০৯:৩৯ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার
চোখ ধাঁধানো আতশবাজির ঝলকানি ও গানের তালে তালে নতুন বছর ২০১৯ সালকে বরণ করে নিল মালয়েশিয়ানদের পাশাপাশি কয়েক লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী।
কাউন্টডাউন শেষ হতেই হাজার হাজার আতশবাজির ঝলকানিতে দিনের আলোর মতো আলোকিত হয়ে ওঠে মালয়েশিয়ার শহরের রাতের আকাশ। বর্ণিল আলোকচ্ছটায় জীর্ণতাকে বিদায় জানিয়ে কুয়ালালামপুরের কেএলসিসি (টুইন টাওয়ার), কেএল টাওয়ারের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে নববর্ষ বরণ উৎসবে মেতে ওঠে হাজার হাজার মানুষ।
নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও এই মোহনীয় দৃশ্য দেখতে কুয়ালালামপুরের কেএলসিসি (টুইন টাওয়ার), কেএল টাওয়ার, মারদেকা মাঠ, সানওয়ে লেগুন, পুত্রাজায়া, বুকিত বিনতাংসহ বিভিন্ন স্থানে জড়ো হন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা। এর থেকে বাদ যায়নি প্রবাসী বাংলাদেশীরাও।
‘সিটি অব কালার’ স্লোগান-সম্বলিত ফেস্টুন ও ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছিল কুয়ালালামপুর শহরের বিভিন্ন এলাকাকে।
এক অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় মালয়েশিয়ার ডেপুটি প্রাইমমিনিস্টার ডা. ওয়ান আজিজাহ নতুন বছরের শুভ কামনা করেন এবং সকলকে ১ জানুয়ারি থেকে উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান না করতে সরকার যে রায় করেছে সেটা মেনে চলতে আহ্বান জানান।
এদিকে, নববর্ষ উপলক্ষ্যে যেকোন নাশকতা ঠেকাতে গোটা কুয়ালালামপুর জুড়ে ছিল বিপুলসংখ্যক পুলিশি টহল। শহরে প্রবেশ করা বাস ও ট্রেনগুলোকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়। মধ্যরাতে জমকালো আতশবাজির মাধ্যমে মালয়দের পাশাপাশি হাজারো প্রবাসী নতুন বছরকে বরণ করে নেন।
নতুন বছর উপলক্ষে দেশবাসীর প্রতি বিশেষ বাণী দেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ।
এদিকে, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মালয়েশিয়ার নতুন আইন অনুযায়ী সকল রেস্টুরেন্ট ও বাসস্ট্যান্ড এবং উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন ও আইনকে সম্মান করে প্রবাসে দেশের ভাবমূর্তি বজায় রেখে নিরাপদে চলাফেরার আহ্বান জানান তিনি।
এসি