ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

‘ওবামার বাড়িতে দশ ফুট প্রাচীর!’ ট্রাম্পের ভুল মন্তব্য

প্রকাশিত : ১২:১০ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১২:১১ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বাড়ির দেওয়াল নাকি ১০ ফুট উঁচু—এ দাবি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যা শুনে ওবামার প্রতিবেশীরা জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রাম্পের এ কথা সত্য নয়। ওবামার এখনকার বাড়ির বাইরে আদতে কোনও দেওয়ালই নেই।

দক্ষিণ সীমান্তে প্রাচীর তোলা নিয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাড়ির বাইরের দেওয়ালের সঙ্গে রোববার তুলনা টেনেছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আর মিসেস ওবামা তাদের ওয়াশিংটনের ম্যানসনের বাইরে দশ ফুট উঁচু প্রাচীর তৈরি করিয়েছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য এটা অবশ্যই দরকার। আমেরিকারও এমনটাই প্রয়োজন। শুধু একটু বড় আকারের।’

এই মুহূর্তে ওই প্রাচীর তোলা নিয়েই ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে সম্পর্ক খারপ যাচ্ছে তার। সে অচলাবস্থা কাটার এখনও কোন লক্ষণ নেই। তবে প্রাচীর-বিতর্ক শিরোনামে জায়গা করে নিচ্ছে রোজই।

ট্রাম্পের সাম্প্রতিক দাবির প্রেক্ষিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওবামার দুই প্রতিবেশী মুখ খুলেছেন সোমবার। একটি মার্কিন দৈনিককে তারা বলেছেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বাড়ির বাইরে কোনও দেওয়াল তো নেই-ই। বরং রাস্তা থেকে সে বাড়ি যে কারও চোখে পড়বে।

৮২০০ বর্গফুটের ওই ম্যানসনে নানাবিধ নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকলেও দেওয়াল বলে কিছু নেই। বাড়ি ঘেরা আছে এক রকমের বেড়া দিয়ে। ওয়াশিংটনের অভিজাত ক্যালোরামা এলাকায় ওই ম্যানসনের আশপাশের সব বাড়িতেই ওইটুকু ঘিরে রাখা ব্যবস্থা রয়েছে।

যে প্রতিবেশীরা এই তথ্য দিয়েছেন, তারা ওই এলাকার বহু দিনের বাসিন্দা। শুধু ওবামা নন, ওই এলাকায় ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা এবং অ্যামাজ়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা জেফ্রি বেজ়োসও থাকেন।

২০১৭-য় যখন ওই ম্যানসনটি তৈরি করা হচ্ছিল, তখন একটি ফ্যাশন ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়, ওখানে ‘দেওয়াল’ রয়েছে। কিন্তু ওবামারা তখনও এসে ওঠেননি সেখানে।

মার্কিন দৈনিকটির দাবি, বাড়ির একেবারে সামনে সিক্রেট সার্ভিসের প্রয়োজনমতো যতটুকু ঘেরার দরকার, সেইটুকু শুধু মেনেছেন ওবামা-দম্পতি।

দৈনিকটির মতে, মেক্সিকো সীমান্তে ৩৫-৪০ ফুট উঁচু কংক্রিটের প্রাচীর গড়ার পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে ট্রাম্প রং চড়িয়ে ওবামার বাড়ির বাইরে দেওয়ালের কল্প কাহিনী শুনিয়েছেন। 

ট্রাম্পের এই মন্তব্য ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে দাবি করেছেন ফ্রেড গুটেনবার্গ। পার্কল্যান্ড স্কুলে বন্দুকদারীদের হামলায় প্রাণ হারায় তার সন্তান।

ফ্রেড টুইটারে লিখেছেন, ‘আপনি কি সত্যি সত্যি আমাদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে বিপদে ফেলতে চান?’ ওবামার বাড়ির ‘দেওয়াল’ প্রসঙ্গে মার্কিন দৈনিকের তরফে প্রশ্ন গিয়েছিল সিক্রেট সার্ভিসের কাছেও। তারা এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/