ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ইউনেস্কো থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের নাম প্রত্যাহার

প্রকাশিত : ০২:৫৬ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৯:৩৫ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো থেকে ২০১৭ সালে নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ তোলা হয় ইসরায়েল বিদ্বেষের। ১ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে এই ঘোষণা কার্যকর হয়েছে৷

২০১৮ সাল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউনেস্কোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কও শেষ হয়ে গেল। তাদের সঙ্গে ইসরায়েল বিরোধিতার অভিযোগ তুলে ইউনেস্কো ছাড়লো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বৈষম্যের নীতি গ্রহণ করেছে ইউনেস্কো। ইসরায়েল রাষ্ট্র ও ইহুদিদের ঘৃণা করে, এমন লোকরা ইতিহাস বিকৃতিতে সংস্থাটিকে কাজে লাগাচ্ছে।’

২০১৭ সালে ঘোষণা দিলেও ইউনেস্কোর নিয়ম অনুযায়ী, কোনো সদস্য পদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলে সে ঘোষণা কার্যকর হয় পরের বছরের শেষে। ফলে, না চাইলেও আরো এক বছর ইউনেস্কোর সদস্য থাকতে হয় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে।

১৯৪৯ সালে ইউনেস্কোতে যোগ দেয় ইসরায়েল। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ প্রকল্পের জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদৃত সংস্থাটি। বিভিন্ন দেশে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঘোষণা ও ঐতিহ্য রক্ষায় সংস্থাটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, নারীর শিক্ষা এবং জঙ্গিবাদ ও ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধেও কাজ করে থাকে সংস্থাটি৷

ইসরায়েলে নয়টি বিশ্ব ঐতিহ্য রয়েছে। এর মধ্যে হাইফা অঞ্চলের বাহাই গার্ডেন, মৃত সাগরের পাশে মাসাদার বিবলিক্যাল নিদর্শন এবং তেল আবিবের হোয়াইট সিটি উল্লেখযোগ্য।

তবে ঝামেলা বাঁধে যখন পূর্ব জেরুসালেমের পুরোনো শহরকে কোনো রাষ্ট্রের অধীনে না দেখিয়ে অন্তর্ভূক্ত করা হয় বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায়। এছাড়া, ফিলিস্তিনি সীমানার মধ্যে থাকা তিনটি নিদর্শনকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে।

তবে ইসরায়েলের সদস্যপদ থাকা না থাকায় সংরক্ষিত নিদর্শনগুলোর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। ঐতিহ্যগুলোর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার দায়িত্ব স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ওপর ন্যস্ত। ইউনেস্কোতে না থাকলেও বিশ্ব ঐতিহ্য কনভেশনের সদস্য ঠিকই থাকছে ইসরায়েল৷

ইসরায়েলের কিছু সংরক্ষণবিদ অবশ্য দেশটির এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিমত জানিয়েছেন। সম্প্রতি ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সংরক্ষণের আবেদন করা স্থপতি জিরোয়া সোলার বলছেন, ‘এটা রাজনৈতিক৷ আমি ইউনেস্কোর অনেক সিদ্ধান্তের সাথে একমত হই না।

কিন্তু এই সংস্থা ত্যাগ করায় অন্য কাউকে না, আমরা নিজেদেরকেই শাস্তি দিচ্ছি। ইউনেস্কো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে না, যেসব দেশ ভোট দেয়, তারা দেশটির বিপক্ষে৷’ 

তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে

এমএইচ/