মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের ঘোষণা এ মাসেই
প্রকাশিত : ০৪:৫০ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:৫৪ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার
শিগগিরই ‘নতুন অনলাইন পদ্ধতি’তে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার প্রক্রিয়া শুরুর আভাস দিয়েছে মালয়েশিয়া। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের কর্মকর্তারা এবার অল্প অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী নিয়োগের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত যাবতীয় আলোচনা ও প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত করেছে উভয় পক্ষ। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, কোনো সিন্ডিকেট নয়, এখন থেকে জনশক্তি প্রেরণে লাইসেন্সধারী সব রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠানোর সুযোগ পাবে। তবে পুরো প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ হয়, সেদিকটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে সরকার।
জানা গেছে, জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে ১০ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কাজের অনুমতি পেয়েছিল বাংলাদেশ। বর্তমানে তাদের মাধ্যমে আবেদন করা প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক দেশটিতে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু এ পদ্ধতিতে দেশটিতে প্রবেশের শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর। বেঁধে দেয়া সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় জিটুজি প্লাস প্রক্রিয়ায় এসব কর্মীকে পাঠানো সম্ভব হয়নি। ফলে বাতিল হয়ে গেছে এসব শ্রমিকের চাহিদাপত্র। অপেক্ষমাণ এসব শ্রমিককে মালয়েশিয়ায় যেতে হলে পুনরায় নতুন পদ্ধতিতে যেতে হবে।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সঙ্গে জড়িত এ সিন্ডিকেটের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি হলো ইউনিক ইস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেড, ক্যারিয়ার ওভারসিজ, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল, এইচএসএমটি হিউম্যান রিসোর্স, সানজারি ইন্টারন্যাশনাল, রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল, প্যাসেজ অ্যাসোসিয়েটস, আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, প্রান্তিক ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম ও আল ইসলাম ওভারসিজ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে জিটুজি পদ্ধতিতে কর্মী পাঠাতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে ১০টি বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিকে জিটুজি প্লাসের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের মাধ্যমে ২০১৭ সালে ৯৯ হাজার ৭৮৭ জন বাংলাদেশী শ্রমিক মালয়েশিয়া যান। আর ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার ৮১৯ জন শ্রমিক পাঠিয়েছে এ ১০ রিক্রুটিং এজেন্সি।
আরকে//